বাজিস-১০ : চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু রয়েছে, হাটে থাকছে ভেটেরিনারি টিম

বাজিস-১০
চট্টগ্রাম-কোরবানির পশু
চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশু রয়েছে, হাটে থাকছে ভেটেরিনারি টিম
চট্টগ্রাম, ৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস): এবার পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় চট্টগ্রামে সম্ভাব্য সাতলাখ ২০ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় খামারীদের কাছে মজুদ আছে ৬ লাখ ৪ হাজার ২১৯টি পশু। অন্যান্য জেলা থেকে আনা হয়েছে আরও ২ লাখের বেশি পশু। তাই এবার চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত সংখ্যক কোরবানির পশুর রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার ১৫টি উপজেলায় ৬৩টি স্থায়ী ও ১৪৬টি অস্থায়ী পশুরহাট বসছে। এসব হাটে গবাদিপশুর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ৩ থেকে ১১ সদস্যের ৭১টি ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। এবং সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ পশু কিনতে পারে, অসাধু বেপারীরা যাতে রোগা, অসুস্থ পশু বিক্রি করে ঠকাতে না পারে সে দিকে নজর রাখবে ভেটেরিনারি টিম।’
তিনি জানান, কোরবানীর পশুর ধকলজনিত পানিস্বল্পতা, জ্বর, ব্যাথা, পরিবহনকালীন ট্রমাটিক ইনজুরি, সাধারণ ক্ষুধামন্দা ইত্যাদির চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবে ভেটেরিনারি টিম।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে পশুরহাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বিষয়ক এক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্যাবের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন, সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) ডা. একেএম সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সাতহাজার ৫৭টি খামারে ছয়লাখ চারহাজার ২১৯টি পশু রয়েছে। তৎমধ্যে চারলাখ ১৪ হাজার ৩৮৭টি গরু, ৪২ হাজার ২৮৪টি মহিষ, একলাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি ছাগল ও ভেড়া। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে দুইলাখের বেশি পশু। ২০১৮ সালে ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৫টি কোরবানি হয়েছে চট্টগ্রামে। এবারে কোরাবানির পশুর চাহিদা কিছুটা বাড়লেও পর্যাপ্ত পশু মজুদ আছে।
ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যবান্ধব উপায়ে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২০৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। নগরীর খুলশীতে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (০১৮৫৯ ২৫৫১৫১, ০১৭২০ ৮৮২২৮২) চালু করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
অন্যদিকে, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন কোরবানির পশু কেনার পর বাড়িতে পশুকে ভাত, চাল, গম, জাউ না খাওয়ানোর পরামর্শ দেন।
বাসস/জিই/এসকেবি/১৯২৫/এমকে