ডিএনসিসি’তে আগামীকাল থেকে মশার নতুন কীটনাশক প্রয়োগ শুরু হবে : মেয়র আতিক

150

ঢাকা, ৭ আগষ্ট, ২০১৯ (বাসস) : চীন থেকে আমদানি করা নতুন মশা নিধনের কীটনাশক আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে মশক নিধন কার্যক্রম ও কীটনাশক অগ্রগতি সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আতিকুল ইসলাম বলেন, নতুন ওষুধের নমুনা এনে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রথমে ফিল্ড টেস্ট, ল্যাব টেস্ট করা হয়েছে। আমি টেকনিক্যাল টিমকে বলেছি যে, যারা ওষুধ পরীক্ষা করবে ওষুধ নিয়মে তাদেরই দায় নিতে হবে।
ওষুধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা আমাকে জানিয়েছেন ওষুধ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। সেকারণে আজ ওষুধ মিশ্রণের কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে কার্যক্রম ও ওষুধ বিতরণ শুরু করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, প্রথমে কিছু ওয়ার্ড এবং পর্যায়ে ক্রমে ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে চীন থেকে আনা নতুন কীটনাশক প্রয়োগ করা হবে। আমরা আপাতত ৪ টন ওষুধ এনেছি যা দিয়ে ২০-২৫ দিন চলবে। আরও ওষুধ আসার প্রক্রিয়া আছে।
তিনি বলেন, প্রতি ওয়ার্ডে ৯ সদস্যের একটি সেল করা হয়েছে। তাদের সাথে স্কাউটস ও বিএনসিসির সদস্যরাও থাকবেন। বাড়িতে গিয়ে তারা এডিস মশার প্রজনন স্থল খুঁজে দেখবে। যদি পাওয়া যায় তাহলে সেখানে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে। কিছুদিন পর আবার সেগুলো ফলো আপ করা হবে। যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে জরিমানা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম বলেন, যার স্বজন মারা গেছে সেই বুঝে এর কষ্ট কী? এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা মনে করি এটি মোটেও কাম্য নয়। যে পরিবারে ডেঙ্গু হয়েছে সেই বুঝবে এর জ্বালা। তাই আমি বিনয়ের সঙ্গে বলবো, আসুন আমরা শুধু ওষুধ না এর সঙ্গে সচেতনতাও বৃদ্ধি করি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল পরামর্শক ড. মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, আমরা দুই ধরনের ওষুধ এনেছি। মেলাথিয়ন ৫৮% এবং ইসি এবং মেলাথিয়ন ৫% আর এফ ইউ। এসব ওষুধ চীনের নানজিং ইকো ফার্ম বায়োটেকনোলজি লিমিটেডের থেকে কেনা হয়েছে।
এ সময়ে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।