বাসস দেশ-২৪ : সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের পদক্ষেপ নিচ্ছে : তাজুল ইসলাম

103

বাসস দেশ-২৪
এলজিআরডি মন্ত্রী-মতবিনিময়
সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের পদক্ষেপ নিচ্ছে : তাজুল ইসলাম
ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের কৌশল গ্রহণ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত বিবেচনায় নিয়েই টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের কৌশল গ্রহণ করা হয়।
এলজিআরডি মন্ত্রী আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে ইটের পরিবর্তে ‘কংক্রিট ব্লক’ ব্যবহার এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের সাথে বিটুমিনের গ্রেডও পরিবর্তন করা হচ্ছে। বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্প।
তিনি বলেন,‘কেবল উন্নয়ন না, আমরা টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করছি’।
ধরনের মতবিনিময় সভার মাধ্যমে নীতিনির্ধারক, বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ ও সাংবাদিকদের মাঝে সেতুবন্ধ তৈরি হবে-এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকির বিষয়গুলো পাঠ্যপুস্তকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরতে পারলে শিক্ষার্থীরা ছোটবেলা থেকেই এ বিষয়ে সচেতন হতে পারবে এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে।
অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ড. কাজী আনোয়ারুল হক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান,বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ধরনের আয়োজনে সাড়া দেয়ার জন্য বিসিজেএফ’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং সরকারের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের যেকোন কর্মসূচিকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন ।
মতবিনিময় শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন,‘এডিস মশা যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেহেতু এডিশ মশা এক দেশ থেকে অন্যদেশে স্থানান্তরিত হতে পারে কাজেই আমাদের দেশেও এক জায়গা থেকে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়তে পারে।’
জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাসস/সবি/জেডআরএম/১৮০০/-আসচৌ