বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

185

ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন,দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অপরিসীম ত্যাগ, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতার কারণে জাতি তাঁকে যথার্থই ‘বঙ্গমাতা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে সপরিবারে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন, যা জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব -এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা। তিনি আমৃত্যু দেশ ও জাতি গঠনে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ আমি আশা করি, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব – এর জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি জাতির পিতার সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাক, ভালভাবে বাঁচুক এই প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সবসময় ছিলেন সজাগ এবং দূরদর্শী।
তিনি বলেন,‘তাইতো একজন সাধারণ বাঙালি নারীর মতো স্বামী-সংসার, আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন’ ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক সাফল্যেও বঙ্গমাতা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। জাতির পিতা রাজনৈতিক কারণে প্রায়শই কারাগারে বন্দী থাকতেন। এই দুঃসহ সময়ে তিনি হিমালয়ের মতো অবিচল থেকে একদিকে স্বামীর কারামুক্তিসহ আওয়ামী লীগ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।’
‘অন্যদিকে সংসার, সন্তানদের লালন-পালন, শিক্ষাদান, বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়ে স্বাধীনতা এবং মুক্তির সংগ্রামকে সঠিক লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬-দফা ও ১১-দফার আন্দোলনে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।’
একই ভাবে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিনি হানাদার বাহিনীর হাতে গৃহবন্দী থেকে এবং পাকিস্তানে কারাবন্দী স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কা সত্ত্বেও তিনি সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব – এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।