বাজিস-৪ : ভোলায় অর্ধ লক্ষেরও বেশি মানুষ বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে

191

বাজিস-৪
ভোলা-বয়স্ক-ভাতা
ভোলায় অর্ধ লক্ষেরও বেশি মানুষ বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে
ভোলা, ৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় অধর্ লক্ষেরও বেশি অসহায় মানুষ বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। ৭ উপজেলায় মোট ৫৭ হাজার ৪০৩ জন বয়স্ক ব্যক্তি প্রতিমাসে ৫শ’ টাকা করে পাচ্ছে। গত অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সমাজের দুস্থ দরিদ্র, অবহেলিত ও অক্ষম বৃদ্ধরাই সরকারের এ সাহায়তা পাচ্ছেন। সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় এ কার্যক্রমে সমাজের বয়স্ক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
সমাজসেবা কর্মকর্তারা জানান, সমাজের দরিদ্র ও অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্য সরকারের এ কার্যক্রমের পরিধী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবছরই ভাতার বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে মাসিক এ ভাতার পরিমাণ ও বাড়ানো হয়েছে। আর সবচেয়ে সুবিধা হচ্ছে এখন আর ভাতার জন্য কষ্ট করে সমাজসেবা কার্যালয়ে আসতে হয়না। যথাসময়ে নির্ধারিত ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে গিয়ে ভাতার টাকা জমা হয়। তাই ভাতার টাকা তুলতে তাদের আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হয়না। ফলে এ টাকায় উপার্জনে অক্ষম বৃদ্ধদের পরিবারে কদর ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বাসস’কে জানান, বয়স্ক ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে পুরুষদের ৬৫ বছরের বেশি ও নারীদের ৬২ বছরের অধিক বয়সকে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেককে মাসে ৫শ’ টাকা করে ৩ মাস অন্তর অন্তর ১ হাজার ৫শ’ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে দিন দিন সমাজের দুস্থ ও অবহেলিত বয়স্ক মানুষের জীবন মানের উন্নতী হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় জন প্রতিনিধীদের মাধ্যমে বয়স্কদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে তালিকায় নাম চ’ড়ান্ত হওয়ার পর প্রত্যেককে ১০ টাকার একাউন্ট খুলতে হয়। এরপর প্রতি ৩ মাস পর পর নির্ধারিত ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব নম্বরে ১ হাজার ৫শ’ টাকা জমা হয়ে যায়। এটি মূলত সামাজিক সুরক্ষামূলক কর্যক্রমের অংশ হিসাবে সমাজের অসহায় বৃদ্ধদের কল্যাণে কাজ করছে।
সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালীয় গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ হোসেন (৭০) বলেন, তিনি ছেলের সংসারে থাকেন। ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালোনা। তাই ভাতার টাকায় ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র কিনেন তিনি।
বাসস/এইচএএম/১৪৩৫/-নূসী