১২ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২ হাজার ৯৪১টি স্থানে পশু জবেহ করা হবে : এলজিআরডি মন্ত্রী

332

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : চলতি বছর দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৯৬টি পশুর হাট এবং ২ হাজার ৯৪১টি স্থান পশু জবেহ-এর জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারাদেশে কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবেহকরণ ও দ্রুত বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী একথা জানান।
এলজিআরডি মন্ত্রী সভায় বলেন, কোন ব্যক্তি বা জনপ্রতিনিধি অনুমতি ব্যতীত কোন জায়গায় হাট বসালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি কোরবানির দিন, রাত ৯টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ এবং পূর্ব থেকেই বর্জ্য সংগ্রহের ব্যাগেজ সরবরাহের নির্দেশনাও প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ঈদুল আযহায় পশু কোরবানি করে থাকেন। যত্রতত্র পশু কোরবানির ফলে স্বাস্থ্যগত ও পরিবেশগত সমস্যার সৃষ্টি করে। কাজেই কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবেহকরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য আপসারণ করতে হবে। পরিবেশ দুষণরোধ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে এটা জরুরী।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন মোতাবেক, ২০১৪ সাল হতে প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু নির্দিষ্ট স্থানে জবেহকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। বিগত বছরে বিভাগীয় কমিশনারগণ পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সমন্বয় করেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসকগণ ইউনিয়ন পর্যায়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন সমন্বয় করেন।
সভায় আরও জানানো হয়, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানসমূহে প্যান্ডেল তৈরি করা হবে। পর্যাপ্ত ইমাম এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাংস প্রস্তুতকারী থাকবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান থাকবে। পর্যাপ্ত স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রতিটি পশুর হাটে উন্নতমানের বর্জ্যবাহী ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। বর্জ্য অপসারণে কন্ট্রোল রুম- এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করা হবে। সিটি কর্পোরেশনের পানিবাহী গাড়ি ছাড়াও ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সৌজন্যে পর্যাপ্ত গাড়ি নিয়োজিত হবে। মাইকিং, লিফলেট প্রচার, টিভিসি প্রচার এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সকল সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, মশক নিধন অভিযান যথাযথ বাস্তবায়ন, সমন্বয় সাধন ও নিবিড় তদারকির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ড ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ড অর্থাৎ মোট ১২৯ টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ১ জন করে ১২৯ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।