বাজিস-২ : উপকূলের হাটগুলোতে দেশি পশুর সংখ্যা বেশি

326

বাজিস-২
বরগুনা-দেশি পশু
উপকূলের হাটগুলোতে দেশি পশুর সংখ্যা বেশি
বরগুনা, ৬ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস): ঈদুল আযহা উপলক্ষে বরগুনা ও পটুয়াখালীর হাটগুলোতে প্রচুর দেশি গরু, মহিষ ও ছাগলের দেখা মিলছে। স্থানীয় খামারিরা দেশীয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করেছেন। তবে গো-খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবারে পশুর দাম অনেকটাই বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা। তাই কোরবাণী ঈদের মাত্র পাঁচ বাকি থাকলেও কেনা-বেঁচা খুব একটা হচ্ছেনা বলে বিভিন্ন হাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
ঈদের আগে উপকূলীয় এলাকার সবচেয়ে বড় হাট বসছে বুধবার, আমতলী উপজেলায়। সেই হাটসহ কলাপাড়া, তালতলী, বরগুনা, পুরাকাটা, গাজীপুর, রাঙাবালি, বেতাগী, বামনা, পাথরঘাটা, মির্জাগঞ্জ, প্রভৃতি হাট ও বাজারগুলোতে শেষ মুহূর্তে ভালো ব্যবসার আশা করছেন খামারি ও ব্যবসায়িরা। পাশাপাশি তাদের আশংকা রয়েছে, বিদেশ থেকে গরু এলে তারা ব্যবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
স্থানীয় খামারিরা জানিয়েছেন, খামারে ভুষি, খড়, ভাত, কুড়া, খৈল, ও ঘাসই গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। গরু মোটাতাজা করতে কোনও ওষুধ ব্যবহার করেন না। এবার গরু লালন-পালন, গো-খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই গরুর দামও একটু বেশি। গতবার যে গরু ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি সেই গরুর দাম এবার ৭০-৮০ হাজার টাকা।
প্রাণি স¤পদ অফিস সূত্রগুলো জানিয়েছে, দুই জেলায় এ বছর প্রায় লক্ষাধিক কোরবাণীর পশুর প্রয়োজন। পটুয়াখালী জেলা প্রাণি স¤পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর পটুয়াখালীর ৩ হাজার ১৮ খামারে ৯ হাজার ৯২২টি ষাঁড়, ২ হাজার ১২৬টি বলদ, এক হাজার ৬২২টি গাভী, ৮০০টি মহিষ, ৪ হাজার ৯৬৪টি ছাগল ও ৩১টি ভেড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ১ লাখ ১৮০০টি পশু পারিবারিক পর্যায়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। দুই জেলায় প্রতিপালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে দুই লাখের ও বেশি পশু। স্থানীয় চাহিদার বাড়তি পশু বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রাণি স¤পদ কর্মকর্তা ডা, আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ওষুধে গরুর লিভার নষ্ট হয়ে যায়। ওই মাংস খাওয়াও নিরাপদ নয়। পশু হাটগুলোতে মনিটরিং এর জন্য বিভিন্ন টিম কাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রাণি স¤পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, কোরবাণী উপলক্ষে ১৪২ জন কসাইকে মাংস প্রক্রিয়াজাতের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশুকে স্টেরয়েড দিয়ে যাতে মোটাতাজা করা না হয় এ বিষয়ে খামারিদের সতর্ক করা হয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আসার-যাওয়ার পথে ও হাট বাজারগুলোতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১০-৪৬/নূসী