বাজিস-৯ : বান্দরবানে ৮৪টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় ঘর

110

বাজিস-৯
বান্দরবান-দুর্যোগ সহনীয় ঘর
বান্দরবানে ৮৪টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে দুর্যোগ সহনীয় ঘর
বান্দরবান, ৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘টিআর’ ও ‘কাবিটা’র অর্থে জেলার সাত উপজেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের বিশেষ বরাদ্দে ৮৪টি গৃহহীন পরিবার এসব ঘর পাচ্ছেন।ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণ বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করেছে জেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তর ।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আটশ’ বর্গফুটের সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে দু’টি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর থাকবে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে।
আরো জানা যায়, সরকারের ৫ বছর মেয়াদী পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলতি অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি ‘টেস্ট রিলিফ’ (টিআর) এবং ‘কাজের বিনিময়ে টাকা’ (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের অর্থে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান সদর উপজেলায় ১৫টি, রুমায় ১৪টি, রোয়াংছড়িতে ১০টি, থানচিতে ১০টি, লামায় ১৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০টি এবং আলীকদম উপজেলায় ১০টি পরিবার এই দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছেন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘যাদের জমি, আছে ঘর নেই- তাদেরকে এ ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে ৪১৫টি ঘর নির্মাণের জন্য ১০ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৫ টাকা পাওয়া গেছে। তবে জমি আছে, ঘর নেই এরকম ৮৪টি পরিবার আমরা বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পেয়েছি।’
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, দরিদ্র গৃহহীন পরিবার যাদের কমপক্ষে দুই শতাংশ জমি আছে অথবা উক্ত পরিমাণ জমি লিজ অথবা স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে থাকলে সেসব পরিবার এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। জমির সংস্থান সাপেক্ষে গৃহহীন হিজড়া, বেদে, বাউল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রভৃতি সম্প্রদায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। গৃহহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদীভাঙ্গনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ গৃহহীন পরিবার, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত মহিলা, প্রতিবন্ধীব্যক্তি এবং পরিবারে উপর্জনক্ষম সদস্য নেই- এমন পরিবার অগ্রাধিকার পাবেন।
রূপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা জানান, তার ইউনিয়নে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি গৃহহীন পরিবারকে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে।
লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে। চলতি অর্থবছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।’
বাসস/সংবাদদাতা/১৭২০/এমকে