স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে : আমু

162

ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার অব্যাহত রেখেছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে সব সময়ে সজাগ থাকতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামালের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, শুধু দেশেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা নয়, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বাঙালির বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বারবার পাকিস্তানের কারাগারে যেতে হয়েছে।
স্বেছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছারের সভাপতিত্বে সভায় বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেব নাথ এমপি, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মোনয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে সকল মেগা প্রকল্প গ্রহণ করছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং অপপ্রচার অব্যাহত রয়েছে। ৭১এর পরাজিত শক্তিরা চায়না বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক। তাই তারা সব সময়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতি যেন বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হচ্ছে। এর ফলে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।
শহীদ শেখ কামালের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, শেখ কামাল শুধু দেশে নয় বিশ্বের রাজনৈতিক নেতার ছেলেদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হয়েও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। ছাত্রলীগের তার বিশাল একটি কর্মী বাহিনী থাকলেও তিনি ছাত্রলীগ বা অন্য কোনো পদে ছিলেন না। সদ্য স্বাধীন দেশে যুব সমাজ যেন বিপথগামী না হয়, সেজন্য তিনি সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। শেখ কামালের জীবন আদর্শ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে।