বাজিস-৫ : বান্দরবানের ৮৪ গৃহহীণ পরিবার পাচ্ছেন দুর্যোগ সহনীয় ঘর

122

বাজিস-৫
বান্দরবান- ঘর
বান্দরবানের ৮৪ গৃহহীণ পরিবার পাচ্ছেন দুর্যোগ সহনীয় ঘর
বান্দরবান, ৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিআর ও কাবিটার অর্থে বান্দরবান পার্বত্য জেলার সাত উপজেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বিশেষ বরাদ্দে ৮৪টি পরিবারের গৃহহীণ মানুষ পাচ্ছেন এ সব ঘর। ইতোমধ্যে ঘর নির্মাণ বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে বান্দরবানের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আটশ বর্গফুটের সেমিপাকা প্রতিটি ঘরে দুটি রুম, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্না ঘর থাকবে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে।
আরো জানা যায়, চলতি অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচী টেস্ট রিলিফ (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচীর বিশেষ বরাদ্দের টাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের এটি ৫ বছর মেয়াদী পাইলট প্রকল্প।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার বান্দরবান সদরে ১৫টি, রুমায় ১৪টি, রোয়াংছড়িতে ১০টি, থানচিতে ১০টি, লামায় ১৫টি, নাইক্ষ্যংছড়িতে ১০টি এবং আলীকদম উপজেলায় ১০ টি পরিবার এ দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পাচ্ছেন।
বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শামীম হোসেন জানান, যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদেরকে এ ঘর দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে ৪১৫টি ঘর নির্মাণের জন্য ১০ কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ৩৬৫ টাকা পাওয়া গেছে। তবে জমি আছে ঘর নেই এরকম ৮৪টি পরিবার আমরা বান্দরবান পার্বত্য জেলায় পেয়েছি।
কার্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, দরিদ্র গৃহহীণ পরিবার যাদের কমপক্ষে দুই শতাংশ জমি আছে, উক্ত পরিমাণ জমি লিজ অথবা স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রাপ্ত হয়ে থাকলে সে সকল পরিবার উক্ত কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। জমির সংস্থান সাপেক্ষে গৃহহীণ হিজড়া, বেদে, বাউল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। গৃহহীণ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, নদীভাঙ্গনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ গৃহহীণ পরিবার, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত মহিলা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও পরিবারে উপর্জনক্ষম সদস্য নেই এমন পরিবার অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হবে।
রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা বলেন, আমার ইউনিয়নে প্রাথমিক পর্যায়ে দুইটি গৃহহীণ পরিবারকে ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ’ দেয়ার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ এটি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ।
লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান বলেন, প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। চলতি অর্থ বছরে গ্রামীণ রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারের এটি পাইলট প্রকল্প।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদেরকে এ ঘর দেওয়া হচ্ছে । প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ চলছে। শীঘ্রই ইউনিয়ন ভিত্তিক উপকারভোগীদের তালিকা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে জেলা কমিটির নিকট প্রেরণ করা হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩০০/নূসী