ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে উদ্ভাবিত এসআইটি পদ্ধতি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ ইয়াফেস ওসমানের

316

ঢাকা, ৩ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কীট জীবপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবিত ‘স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি)’ পদ্ধতি শীঘ্রই মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীরা ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এই কার্যকরী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। ‘স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি)’ নামের এই পদ্ধতির প্রয়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান আজ সাভারে অবস্থিত এসআইটি পদ্ধতির গবেষণাগার পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে এসব তথ্য জানান।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এটি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বা নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) পদ্ধতির প্রয়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এসআইটি পদ্ধতিতে পুরুষ জাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। এই মশা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলিত হয় এবং ওই স্ত্রী জাতীয় এডিস মশা যে ডিম বা লার্ভা নির্গত করে তা থেকে এডিস মশার বংশবিস্তার হবে না। ওই ডিম বা লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ কমতে থাকে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি কার্যকর ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের এটি একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি উল্লেখ করে বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে আরও জানান, এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তর ঘটার কোন সম্ভাবনাই নেই। তদুপরি পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না। কাজেই কমিশনের এসআইটি পদ্ধতিটি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
এসময় কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডা. মোঃ সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড.এম.আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মোঃ সলিমুল্লাহ, এইআরই’র বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।