বাসস ক্রীড়া-৯ : খেলোয়াড়রা দায়িত্ব নিতে পারেনি : তামিম

122

বাসস ক্রীড়া-৯
ক্রিকেট-ওয়ানডে
খেলোয়াড়রা দায়িত্ব নিতে পারেনি : তামিম
কলম্বো, ১ আগস্ট ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর হতাশা নিয়ে শ্রীলংকা সফরও শেষ করতে হলো বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচের সিরিজে লংকানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের কোনটিতেই লড়াইয়ে ছিটেফটাও দেখাতে পারেনি টাইগাররা। যাচ্ছেতাই পারফরমেন্সে আরও একটি লজ্জার সফর যুক্ত হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে। শ্রীলংকায়র এই সফরে দলের কেউই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি বলে জানান বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। গতকাল তৃতীয় ম্যাচ শেষে হতাশাই ঝড়েছে তামিমের কন্ঠে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই আমি বলে আসছি, আমাদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। আমি ১২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি। দলের অন্যান্য যারা আছেন তারা জাতীয় দলে অনেক বছর ধরে খেলছেন। এটা খুই হতাশাজনক যখন দলের জন্য দায়িত্বটা নেওয়া প্রয়োজন ছিল তখন আমরা কেউই দায়িত্বটা নিতে পারিনি। এখান থেকেই শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
ইংল্যান্ডে শেষ হয়ে যাওয়া দ্বাদশ বিশ্বকাপে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশ দল। দশ দলের মধ্যে অষ্টম স্থান নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয় টাইগারদের। দলের সেরা খেলোয়াড়দের সবাই এক সাথে জ্বলে উঠতে না পারায় হতাশা নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে হয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে শ্রীলংকা সিরিজ দিয়ে নতুনভাবে পথচলার স্বপ্ন দেখছিলো টাইগাররা। কিন্তু এখানেও ব্যর্থ দল। এখানে ব্যর্থ তামিম নিজেও। ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে নিয়ে বিবেচনা করলে ব্যর্থই তামিম।
তিন ইনিংসে ০, ১৯ ও ২ রান করেন তামিম। প্রথম দুই ম্যাচে বোল্ড হন তিনি। ইর্য়কার খেলতে হিমশিম খাচ্ছেন দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান। অথচ বড় ইনিংস খেলতে বিশ্বকাপ থেকেই কঠোর অনুশীলন করছেন তিনি। দলের অনুশীলন না থাকলেও নেটে একাই ঘাম ঝড়িয়েছেন তামিম। বিশ্বকাপে ৮ ইনিংসে মাত্র ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রান করেন তামিম। যা তামিমের নামের সাথে মানানসই নয়। এমনটা তামিম নিজেও জানেন। তাই শ্রীলংকার কাছে হোয়াইটওয়াশের পর বিশ্বকাপ থেকে রান না পাওয়ার কষ্ট পোড়াচ্ছে তামিমকে, ‘বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না আমার। তবে এমন নয় যে আমি চেষ্টা করিনি। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার জন্য, কিন্তু সেটা যথেষ্ঠ ছিল না।’
নিজেদের দুর্বলতাগুলো নিয়ে ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত নিজেদের সেরা রুপে ফিরতে প্রত্যায়ী তামিম, ‘দেশে ফিরে সময় নিতে চাই। এরপর নিজের ভুল ও দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করে এবং আবারও দ্রুত ফিরে আসতে চাই।’
চরম ব্যর্থতার এই সফরেও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে অনেক নেতিবাচক দিক ছিলো। আমার থেকে শুরু করে পুরো দলের। তবে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো, তাইজুল ইসলামের বোলিং। গত দুই ম্যাচে সে যেভাবে বল করেছে, তা খুবই ভালো ছিলো।’
সিরিজে দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল। ২০ ওভারে ২ মেডেনে ৬৯ রানে মাত্র ১ উইকেট নেন তিনি। তবে রান দেয়ার বেলাতে কৃপণ ছিলেন তাইজুল। তার ইকোনমি ছিলো ৩ দশমিক ৪৫। সিরিজের দ্বিতীয় সর্বনি¤œ ইকোনমি রেট।
বাসস/এএমটি/১৮১০/মোজা/স্বব