আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে

226

ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ডিজ্যাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি স্থানে নদীর পানির সমতল হ্রাস পেয়েছে, ২২ স্থানে বৃদ্ধি পেয়েছে । ৪টি স্থানে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।।
প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ সারা দেশে বন্যা ও দুর্যোগ পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে আরও উন্নতি হবে বলে জানানো হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, যশোর, পটুয়াখালী, খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালী, কুমিল¬া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সকল এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার গত ১ জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ২৭ হাজার ৯৫০ মে. টন চাল, ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ১ লাখ ১৭ হাজার কার্টন শুকনা খাবার, ৮ হাজার ৫০০ সেট তাঁবু, ৫৪ হাজার ৩০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণে ১৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা, শিশুখাদ্য ক্রয়ে ১৮ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ক্রয়ে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।