দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত দুধ পানে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই : বিএআরসি

155

ঢাকা, ৩১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত বাজারজাতকৃত দুধ পানে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)।
আজ বুধবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে দুধ নিয়ে বিএআরসি কর্তৃক দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর উপস্থিতি বিশ্লেষণ ফলাফল প্রকাশ করে একথা জানায় বিএআরসির পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক ড. মো. মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পাস্তরিত ও অপাস্তরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু-যেমন লীড ও ক্রোমিয়াম, সালফা ড্রাগ রেসিডিউ/অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। দেশে উৎপাদিত দুধে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। এ নিয়ে উদ্বেগ বা কোনো উৎকণ্ঠা নেই।
মনিরুল ইসলাম জানান, জনমনে অস্থিরতা দূর করতে দুধে এন্টিবায়োটিক, সালপা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর অবশিষ্টাংশের উপস্থিতি বিশ্লেষণের নিমিত্ত পুষ্টি ইউনিট, বাংলাদেশ কৃষি গভেষণা কাউন্সিল উদ্যোগ গ্রহণ করে। সেই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাজারজাতকৃত পাস্তুরিত দুধসহ কাঁচা তরল দুধ সংগ্রহ করে এসব নমুনায় কোনো প্রকার এন্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতুর রেসিডিউ এর উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, মিল্ক ভিটা, আড়ং, ফার্ম ফ্রেশ, ইগলু, আরডি, সাভার ডেইরি ও প্রাণের দুধ পরীক্ষা করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের দুধ সংগ্রহ করে স্বীকৃত মানদন্ড অসুসরণ করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান এসজিএস (চেন্নাই) হতে দুধের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে পাস্তরিত ও অপান্তুরিত দুধে কোনো প্রকার সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি।
বিএআরসির পুষ্টি ইউনিটের পরিচালক জানান, ১৬টি নমুনার মধ্যে মিল্ক ভিটায় স্ট্রেপটোমেসিন’র উপস্থিতি প্রতি কেজিতে ১০ মাইক্রোগ্রামের নিচে পাওয়া গেছে। তবে তা মানবদেহের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রার অনেক নিচে (সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা (২০০ মাইক্রোগ্রাম/কেজি- ইউ)। প্রাণ গ্রুপের দুধে নমুনায় শুধুমাত্র ক্লোরামফেনিকলের উপস্থিতি প্রতি কেজিতে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম পাওয়া গেছে। দুধের ক্ষেত্রে ক্লোরামফেনিকলের কোনো প্রকার নির্ধারিত মাত্রা পাওয়া যায়নি। তবে কারও কারও মতে ০.১ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে সাতটি কোম্পানির দুধ পরীক্ষা করা হয়েছে, সেগুলো নিরাপদ। ভবিষ্যতে আরও কোম্পানির দুধও পরীক্ষা করব। ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর সমস্যা থাকতে পারে। বিদেশে পাঠিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করা হবে।