লন্ডন, ৩১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী লড়াই অ্যাশেজ সিরিজ। সেই সাথে এ ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়েই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ বা টেস্ট বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে।
অনেক নিয়ম ও নতুনত্বের ভীড়ে চমকও দেখবে বিশ্ব ক্রিকেট। কাল থেকে শুরু হওয়া অ্যাশেজ দিয়েই ক্রিকেটারদের জার্সিতে দেখা যাবে খেলোয়াড়দের নাম এবং নম্বর। নিজেদের নাম ও নম্বর লেখা জার্সি পরেই মাঠে নামবে খেলোয়াড়রা। যা ওয়ানডে ও টি-২০তে অনেকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট জন্মের পর থেকে এমন রীতি ছিলো না। এ বার টেস্টের জার্সিতেও পরিবর্তন আসতে চলেছে। অ্যাশেজ দিয়েই নতুন আঙ্গিনায় পা দিতে যাচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। আইসিসির এমন নতুনত্বে উচ্ছ্বসিত খেলোয়াড়রা।
নাম ও নম্বর লেখা জার্সি পড়ে ইতোমধ্যে নিজেদের ফটোশুট শেষ করেছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা। ফটোশুট শেষে কেউ-কেউ নিজেদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ আপলোড করেছেন। অনেকেই লিখেছেন, ‘নতুন রুপে বিশ্ব দেখবে আমাকে। নতুনভাবে পথ চলা শুরু হবে টেস্ট ক্রিকেটের।’
ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড টুইটারে নাম ও জার্সি নম্বর লেখা নতুন জার্সিতে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ছবি টুইট করেছে। এরমধ্যে আছেন জো রুট জার্সি ৬৬, স্টুয়ার্ট ব্রড ৮, মঈন আলী ১৮, বেয়ারস্টো ২১ ও জেমস এন্ডারসন ৯ নম্বর জার্সি পরে রয়েছেন।
জার্সিতে নাম ও নম্বর লেখা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করা থেকে বাদ যায়নি অস্ট্রেলিয়া। টিম পাইন ৭, মিচেল স্টার্ক ৫৬, স্টিভেন স্মিথ ৪৯ ও শন মার্শ ৮ নম্বর জার্সি টুইটারে আপলোড করেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই জার্সি নিয়ে সমালোচনা করতে ভুল করেননি ক্রিকেট সমর্থকরা। অনেকেই বলেছেন, ‘এই ভাবে টেস্ট জার্সিতে নাম লেখার পেছনে বাণিজ্যিক স্বার্থটাই বেশি রয়েছে। কারণ জার্সিতে নাম লেখা থাকলে তার মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। তখন বেশি মূল্য দিয়ে জার্সি কিনতে হবে।’