ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ : আইনমন্ত্রী

349

ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোন দেশই অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতামুক্ত নয়। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
মন্ত্রী আজ জেনেভায় নির্যাতন বিরোধী জাতিসংঘ কমিটিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলেন, কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে ডিজিটাল সরঞ্জামাদি ব্যবহারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। এছাড়াও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সর্বশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার, ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত সংস্কারের প্রয়োজন এবং নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তা বিশেষত আইন প্রয়োগকারী ও বিচার বিভাগের সদস্যদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিও এই চ্যালেঞ্জর মধ্যে রয়েছে। ।
আইনমন্ত্রী তার প্রতিবেদনে বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ জনগণের সব ধরনের মানবাধিকার সুরক্ষার একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সম্পূর্ণ শক্তি নিয়োজিত করেছে। তিনি বলেন, আমরা স্বীকার করি যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে যেভাবে একটি ক্ষুধা, শোষণ ও দরিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখনও পূরণ করতে পারিনি। এই চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে তা মোকাবেলায় আমাদের বহু দূর যেতে হবে। তবে আমরা আমাদের সকল নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আনিসুল হক বলেন, যেকোন মূল্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা মোকাবেলায় বাংলাদেশ কঠোর কঠোর নীতি বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, আমরা সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার সকল ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছি এবং দোষীদের বিচারে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নিয়েছি।
একইভাবে সরকার সর্বস্তরের জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে নাগরিক সমাজ ও ব্লগারদের সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে বলে তিনি জানান।
আইনমন্ত্রী বৈঠকে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং এই প্রথমবারের মত জাতিসংঘের নির্যাতন বিরোধী কনভেনশন (ইউএনসিএটি)’র কাছে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, আইন ভিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহীদুল হক এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।