বাসস ক্রীড়া-১৭ : ‘ছাই’ লড়াইয়ে নজর থাকবে যে পাঁচ খেলোয়াড়ের ওপর

138

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-এ্যাশেজ
‘ছাই’ লড়াইয়ে নজর থাকবে যে পাঁচ খেলোয়াড়ের ওপর
ঢাকা, ৩০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : আগামী ১ আগস্ট এজবাস্টনে শুরু হওয়া ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ৭১তম এ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দল দু’টির মধ্যে এ ‘ছাইয়ের’ লড়াই মর্যাদারও। ১৮৮২ সালে শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে প্রতিবারই নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের ওপড় স্পট লাইট থেকে আসছে। অর্থাৎ এমন কিছু খেলোয়াড় থাকে যারা হতে পারেন ম্যাচ উইনার।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র দৃষ্টি আসন্ন এ্যাশেজে ম্যাচ উইনার হতে পারে এমন পাঁচ খেলোয়াড়:
জেসন রয় (ইংল্যান্ড)
বিশ্বকাপ জয়ী জেসন রয় কেবলমাত্র রজে দলের দীর্ঘ দিনের ওপেনিং ব্যাটসম্যান সমস্যার সমাধান ঘটবে রয়ের মাধ্যমে।
সাবেক অধিনায়ক এন্ড্রু স্ট্রস ২০১২ সালে অবসর নেয়ার পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং জুটি সমস্যায় ধুঁকতে থাকা ইংলিশরা বেশ কয়েকজনকে খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তারা বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন। নিজ মাঠে ইংলিশদের রেকর্ড খুব খারাপ নয়। ৪৩ টেস্টের মধ্যে ২৭ জয়, ১১ পরাজয় এবং পাঁচটি ড্র করেছে তারা। সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ব্যর্থ হওয়া টপ অর্ডারে একটা সুন্দর সমাধান খুঁজে পেতে চাইবে স্বাগতিকরা।
গত সপ্তাহে নিজের অভিষেক টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ রান করেন রয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড)
এখনো টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেনি জোফরা আর্চারের। তবে ৫০ ওভার বিশ্বকাপ ফাইনালে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নাটকীয়ভাবে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপুর্ন অবদান রাখা কাউন্টি দল সাসেক্সের এ ফাস্ট বোলারের এ্যাশেজ দিয়েই টেস্ট অভিষেক হওয়াটা প্রায় অনেকটাই নিশ্চিত। গত ১৪ জুলাই শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে ২৩.০৫ গড়ে ২০ উইকেট শিকার করেন আর্চার।
ইংলিশ পিতার সন্তান বারবাডোজে জন্ম গ্রহণকারী আর্চার কেবলমাত্র গত মার্চে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।
প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে এ পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে ২৩.৪৪ গড়ে ১৩১ উইকেট শিকার করা ২৪ বছর বয়সী এ বোলারের টেস্ট সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তার ওপরই নির্ভর করবে ইংল্যান্ড। তার বোলিং বৈচিত্র্য কাজে লাগাতে চাইবে স্বাগতিকরা।
জেমস এন্ডারসন (ইংল্যান্ড)
টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ও মঙ্গলবার ৩৭ বছরে পা রাখা জেমস এন্ডারসন দীর্ঘ দিন যাবত ইংলিশদের পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে পড়া কাফ ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারলে নিজের সুয়িং এর সঙ্গে ইংলিশ কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে ডিউক বলে তিনি যে কোন দলকে নাস্তা-নাবুদ করতে সক্ষম।
ইতোমধ্যেই ১৪৮ টেস্ট খেলা এন্ডারসনের পার্টনার স্টুয়ার্ট ব্রড নতুন বলে ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে সফল জুটির একটি।
টানা চতুর্থ এ্যাশেজ সিরিজ খেরতে নামছেন এন্ডারসন। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াও বেশ ভালভাবেই জানে ল্যাঙ্কাশায়ারের এ বোলার ছন্দে থাকলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের আশা আরো দীর্ঘায়িত হবে।
ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর সাফল্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া স্টিভ স্মিথ, ক্যামেরন ব্যানক্রফটসহ তিন ব্যাটসম্যানের একজন ডেভিড ওয়ার্নার।
এ মাসেই শেষ হওয়া বিশ্বকাপের মাধ্যমে স্মিথসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেন বাঁ-হাতি এ ওপেনার। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়া বিদায় নেয়ার আগে স্বাগতিক দর্শকদের কাছ থেকে ‘দুয়ো ধ্বনি’ শোনা সত্ত্বেও প্রায় ৭২ গড়ে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৬৪৭ রান করেন ওয়ার্নার।
৭৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪৮ প্লাস গড়ে ২১টি সেঞ্চুরিসহ ছয় হাজারের বেশি রান করেছেন ওয়ার্নার।
ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩-২ ব্য্যবধানে পরাজিত হওয়া গত এ্যাশেজে পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি তিনি। তাই এবার সেঞ্চুরি পেতে মরিয়া থাকেবন তিনি। এবারের আসরে বোলাররা রজত্ব করবে বলে ধারণা করা হলেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়ার্নার হতে পারেন বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ।
মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া)
বিশ্বকাপে পাওযা চোট থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক হতে পারেন এ্যাশেজ সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টার্ক ছাড়াও জেমস প্যাটিনসন, পিটার সিডল, প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ অত্যন্ত শক্তিশালী। বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন স্টার্ক।
টেস্ট ক্রিকেটের একজন পরীক্ষিত বোলার ৫১ ম্যাচে ২০০ উইকেট শিকার করা স্টার্ক তার অতিরিক্ত গতি ও ইয়র্কার মরাতেও বেশ পটু।
বাসস/এএফপি/স্বব/১৯৩৫/মোজা/এএমটি