বাসস দেশ-৩২ : সরকার আগামী মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করবে : কৃষিমন্ত্রী

131

বাসস দেশ-৩২
কৃষিমন্ত্রী-খাদ্যমন্ত্রী-ধান-সংগ্রহ
সরকার আগামী মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করবে : কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা,৩০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার আগামী মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ করবে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হলে সেই টাকা সরাসরি কৃষকের হাতে যাবে। কৃষক এর সুফল পাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে কৃষকদের নিকট হতে সরাসরি ধান সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণ, মিলারদের মাধ্যমে ক্রাশিং ও সংরক্ষণ এবং চাল রপ্তানি বিষয়ক আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষক পর্যায়ে ধান-চালের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের লক্ষে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এই আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মফিজুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কৃষি, খাদ্য, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, চাল কল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআই-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, এখনও বাংলাদেশের কৃষি মূল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কৃষকরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলাবে, আর তারা ন্যায্য মুল্য পাবে না, এটা হতে পারে না। কৃষকদের লাভবান করতে প্রয়োজনে সারের দাম আরও কমানো এবং কৃষি যন্ত্রে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হবে।
তিনি বলেন, চাল রপ্তানি করে বিশ^ বাজারে অবস্থান তৈরী করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ^বাজারের টিকে থাকার মান সম্মত চাল আমাদের দেশে উৎপন্ন হয়। যদিও এই মুহূর্তে বিশ^ বাজারে চালের মূল্য কম, তার পরও আমাদের রপ্তানিতে যেতে হবে। চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনে কম মূল্যে দরিদ্র মানুষদের দেয়া হবে। কিভাবে কৃষকদের কাছ হতে ধান সংগ্রহ করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শ চেয়েছেন ড. রাজ্জাক।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভায় বলেন, ২০১৭ সালে হাওরাঞ্চলে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফসলের ক্ষতির প্রেক্ষিতে সে সময় ৪০ লাখ মেট্রিক (মে.) টন চাল আমদানি করা হয়েছিল। সেই চাল এখনও রয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে এবারের বোরো মৌসুমে। এছাড়া তিনি আউশ আবাদে প্রণোদনা বাদ দেয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের বাচাঁতে স্থায়ী সমাধানের পথে যেতে হবে। সারা দেশে ১৬২টি খাদ্য গুদাম তৈরি করা হবে, যার মোট ধারণ ক্ষমতা ৭-৮ লাখ মে. টন।
সভায় জানানো হয়, সরকার ধান সংগ্রহ করে মিল মালিকদের মাধ্যমে ক্রাশ করে চাল করবে। মিল মালিকদের সরকার লাভও দিবে-এমন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মিলাররা জানান যে, তারা সমস্ত দায়িত্ব নিতে চান। এছাড়া তারা কিছু প্রস্তবনা দেন, যেমন-রপ্তানি বাজার উন্মুক্ত করা এবং চাল রপ্তানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া। কৃষকদের বিনা সুদে বা স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হলে এনজিওর ঋণ পরিশোধের জন্য তারাহুড়া করে ধান বিক্রি করতে হবে না। ধান সংগ্রহ বৃদ্ধি করে ২০ লাখ মে:টন করা। তারা আরও জানান, বিশ^ বাজারে মোটা চালের চাহিদা রয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বিগত ১০বছরে ফসলের উৎপাদন বছরে ৬ লাখ মে:টন করে বেড়েছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৪১ হাজার মে:টন চাল রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। গত মৌসুমে খাদ্য শস্য উৎপন্ন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ মে: টন, এর মধ্যে শুধু ধান উৎপন্ন হয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ মে:টন।
বাসস/সবি/এমএন/১৮৪০/কেকে