নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ

329

নড়াইল, ২৯ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : নারী শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ।নিয়মিত পাঠদানের কারণে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিবছর ভালো ফলাফল করায় কলেজটির সুনাম জেলার সর্বত্র ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।কলেজটির কঠোর নিয়ম শৃংখলা এবং মনোরম পরিবেশে পাঠদানের বিষয়টি ইতোমধ্যে অভিবাবকসহ ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে,নারী শিক্ষার প্রসারে ১৯৮৬ সালে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এলাকার শিক্ষানুরাগীরা জেলা সদরে একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুর প্রথম বছর ৬জন ছাত্রী নিয়ে কলেজটি যাত্রা শুরু করে। কলেজটি শুরুর প্রথম পর্যায়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পাঠদানসহ অন্যান্য কর্মকান্ড পরিচালিত হতো। পরবর্তীতে শহরের দুর্গাপুরে জেলা প্রশাসনের দেয়া ২ একর খাস জমির উপর নির্মিত অবকাঠামোতে কলেজটির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড স্থানান্তরিত হয়।কলেজ শুরু থেকেই এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে এ কলেজের মেয়েরা।চলতি বছর এ কলেজ থেকে ২৩৬জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।এর মধ্যে ৮ পরীক্ষার্থীর জিপিএ-৫ লাভসহ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৫২জন। ২০১৩-শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজটিতে বিএ ও বিএসএস পাসকোর্স চালু হয়েছে।বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় ৬শ’ ছাত্রী অধ্যয়নরত।শিক্ষকের সংখ্যা ১৯ জন।লেখাপড়ার পাশাপাশি কলেজের মেয়েরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অংশগ্রহণ করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তাদের দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে। সবুজ বৃক্ষবেষ্টিত বর্তমানে কলেজেটিতে তিনতলা বিশিষ্ট দুটি একাডেমিক ভবন, একটি প্রশাসনিক ভবন ও একটি ছাত্রী হোষ্টেল রয়েছে।
সূত্রে আরো জানা যায়,কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালু না থাকায় এ অঞ্চলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর যোগদানের পর কলেজটিতে অনার্স কোর্স চালুসহ শিক্ষাবান্ধব বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন।তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটিতে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর অনুমতি দিয়েছে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আরো ৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এছাড়া তিনি যোগদানের পর ছাত্রীদের শিক্ষার মানন্নোয়নে অভিভাবক সমাবেশ,ফলাফল পর্যালোচনা,ফলাফল অভিভাবকদের নিকট প্রেরণ,ছাত্রীদের শ্রেণীকক্ষ উন্নয়ন, বসারঘর সংস্কার, সিসি ক্যামেরায় ক্লাস ও পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ, নতুন আসবাবপত্র তৈরী,বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন,পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সংস্কার,ছাত্রী নিবাসের উন্নয়ন,জমি অধিগ্রহণসহ আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছেন।শিক্ষকদের নতুন পদসৃষ্টি,কলেজে দশতলা ভবন নির্মাণের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান।