বাসস ক্রীড়া-৪ : হতাশ তামিম ; খুশী করুনারত্নে

137

বাসস ক্রীড়া-৪
ক্রিকেট-ওয়ানডে
হতাশ তামিম ; খুশী করুনারত্নে
কলম্বো, ২৮ জুলাই ২০১৯ (বাসস) : প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে শ্রীলংকার কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। গতরাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লংকানদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে তামিমের দলের। এমন নির্বিষ পারফরমেন্সে হতাশ বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনটিই মন ভরাতে পারেনি তামিমের। অপরদিকে, সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়াতে দারুন খুশী শ্রীলংকার অধিনায়ক দিমুথ করুনারতেœ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে হারে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়াতে বদ্ধ পরিকর ছিলো টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ওমনটাই জানিয়েছিলেন, ‘ম্যাচ হারলে কখনোই ভালো লাগে না। তবে এখনও আমাদের সুযোগ আছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করতে পারলে ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবো। আমি মনে করি, আমাদের সামর্থ্য আছে ভালো করার। আমার বিশ্বাস আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
কিন্তু ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেই নির্বিষ পারফরমেন্স ছিলো চোখে পড়ার মত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৩৮ রান করে বাংলাদেশ। এ সংগ্রহ এসেছে ইনফর্ম উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের কল্যাণে। অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে এর মাঝে টপ-অর্ডারদের ব্যর্থ অব্যাহত ছিলো। প্রথম ম্যাচে ৩৯ রানে পড়েছিলো ৪ উইকেট। কাল প্রথম ৪ উইকেটের পতন হলো ৬৮ রানে। আর ৮৮ রানে বাংলাদেশ হারায় পাঁচ উইকেট। তাই বড় স্কোরের পথ ইনিংসের ২৫ ওভারেই শেষ হয়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। ফলে সহজ টার্গেট হেসেখেলেই অতিক্রম করে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলংকা।
সিরিজ হারের দলের এমন পারফরমেন্সে হতাশ অধিনায়ক তামিম। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ টস জিতেছিলাম। আমরা জানতাম উইকেটে স্পিন ধরবে। আমাদের ভালো শুরু দরকার ছিল। কিন্তু ৫০ রানে ৪ উইকেট হারানেয় সবকিছু অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
ব্যাটিং-এর পর বোলিংও বাজে হয়েছে বলে মনে করেন তামিম। তার মতে ২৩৮ রানের পুঁিজতে যে ধরনের বোলিং হয়েছে, তাতে ৩শ রানের সংগ্রহ পেলেও কোন লাভ হতো না। তামিম বলেন, ‘আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তাতে ৩০০ রানও যথেষ্ট হতো না।’
দলের সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়াই শ্রীলংকা সফরে এসেছে বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজা-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনজুরির জন্য ও সাকিব আল হাসান নিজ থেকেই এই সফরে আসেননি। সেরা খেলোয়াড়দের অভাবে কতটা অনুভব করেছেন তামিম!! তিনি বলেন, ‘যারা নেই তাদের নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। আমরা কঠোর পরিশ্রমের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা সহজ উপায় খুঁজেছি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলংকার এই সিরিজ জয় অনেক বড় অর্জন বটে। কারন ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর আবারো দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতলো লংকানরা। তাই বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ শ্রীলংকার অন্তরে। ম্যাচ শেষে শ্রীলংকার অধিনায়ক ছিলেন উচ্ছসিত, ‘আমরা খুবই খুশী। আমরা ভালো পারফরমেন্স করেছি। দেশের মাটিতে ৪৪ মাস পর ওয়ানডে সিরিজ জিতলাম। বোলাররা ভালো করেছে। বিশেষভাবে দুই স্পিনার আকিলা ও ধনঞ্জয়া। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছে ভালো করেছে সে। ইনিংসের শুরু ভালো করেছে আবিস্কা। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সে সেঞ্চুরি মিস করেছে।’
আগামী বুধবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা।
বাসস/এএমটি/১৪০০/স্বব