বাসস ক্রীড়া-২ : এ্যাশেজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে : স্টিভ ওয়াহ

295

বাসস ক্রীড়া-২
ক্রিকেট-এ্যাশেজ
এ্যাশেজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে : স্টিভ ওয়াহ
লন্ডন, ২৯ জুলাই, ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : স্টিভ ওয়াহ বলেছেন, আসন্ন এ্যাশেজ সিরিজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড পুনরায় মর্যাদাপূর্ণ এ লড়াইয়ে নামার জন্য প্রস্তুত। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৮ বছর পর প্রথম জয় পেতে মরিয়া সফরকারীরা।
হোম সুবিধা সব সময়ই এ্যাশেজ সিরিজে নিয়ামক হয়ে থাকে। যার মধ্যে ব্যতিক্রম ছিল ২০১০-১১ মৌমুমে অস্ট্রেলিযার মাটিতে ইংল্যান্ডের ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় এবং সর্বশেষ ২০০১ সালে ওয়াহর নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার পাওয়া জয়।
তবে সাবেক অধিনায়ক ৫৪ বছর বয়সী ওয়াহর মতে আগামী ১ আগস্ট এজবাস্টনে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ টেস্টের সিরিজ জয়ে উভয় দলেরই সম্ভাবনা ‘৫০-৫০’।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ছয় সপ্তাহব্যাপী পাঁচ টেস্টের এ সিরিজে উভয় দলের ফাস্ট বোলারদের জন্যই একটা বড় প্রশ্ন হবে এবং যেটা পুরো সিরিজেই বড় প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন জেমস এন্ডারসনের ইনজুরি আছে কিংবা আমাদের মিচেল স্টার্কেরও চোট সমস্যা আছে। সত্যিকারার্থেই এটা লাইনআপে প্রভাব ফেলতে পারে।
‘দলের গভীরতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি কোন দলকেই এগিয়ে রাখতে পারছি না। কারণ আমি জানিনা কোন দল সিরিজ জিতবে। আমি মনে করছি দারুন একটা সিরিজ হবে।’
ুচলতি এ্যাশেজে অস্ট্রেলিযা দলের মেন্টেরের দায়িত্ব পালন করা ওয়াহ বলেন দীর্ঘদিন যাবত ইংল্যান্ডের মাটিতে অসিদের সিরিজ জিততে না পারাটা রহস্যজনক। তবে খেলোয়াড়দের প্রতি তার পরামর্শ হচ্ছে‘ তোমরা নিজেদের ইতিহাস সৃষ্টি কর’।
তিনি বলেন, ‘গত ১৮ বছরে প্রকৃত অর্থেই ইংল্যান্ডের কিছু ভাল দলের বিপক্ষে আমরা জিততে পারিনি। বেশ কিছু সিরিজে আমরা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছি এবং এমন কিছু মুহূর্ত সৃষ্টি করেছি যে আমরা সিরিজ জিততে পারতাম। সম্ভবত এমন অবস্থায় পড়লে ইংল্যান্ড অনেকবার পরাজিত হতো।
-বিশ্বকাপ জাগারণ?-
প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে এ্যাশেজ সিরিজ শুরু করতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। যেখানে সেমিফাইনালে ২০১৫ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংলিশরা। তবে ওয়াহর মতে বিশ্বকাপ জয় এ্যাশেজ নিরিজে প্রাণ প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন,‘ টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে ওয়ানডে অপ্রাসঙ্গিক। এখানে ভিন্ন দল, ভিন্ন অধিনায়ক। পুরোপাুরি এটা ভিন্ন ধর্মী খেলা। আপনি যদি টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের মধ্যে তুলনা করেন তবে দেখবেন এটা কোনভাবেই এক ধরনের খেলা নয়। এটা পুরোপুরি ভিন্নভাবে খেলা হয়।
‘ইংল্যান্ড বলবে এটা সবার জন্যই গুরুত্বপুর্ন এবং আপনি জিততে পারলে অনেক বড় কিছু, এটা সত্যি। তবে এজবাস্টনে প্রথম টেস্টে দেখবেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে যা ঘটেছে এখানে সেটা ঘটবে না।’
প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে বার্মিংহামে। যেখানে ২০০৮ সালের পর ইংল্যান্ড কখনো হারেনি। তবে ওয়াহ তার খেলোয়াড়দের এ বিষয়টি মনে না রাখার পরামর্শ দেবেন।
তিনি বলেন, ‘এ্যাশেজে আমি সেখানে জিতেছি। আমি মনে করি আপনি যদি বিশ্বাস করে কিছু শুরু করেন এবং ভাল করতে পারলে সেটা সত্যি হয়। আমার মনে এটা কোন ইস্যু হবে না।’
মাঠে আপোষহীন মানসিকতার জন্য পরিচিত সাবেক এ অধিনায়ক বলেন ইংলিশ দর্শকদের কাছ থেকে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার বাজে আচরণের শিকার হবেন বলে তিনি আশা করছেন।
গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের কারণে স্মিথ ও ওয়ার্নার এক বছর করে এবং ক্যামেরন ব্যানক্রফট নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ ছিলেন। এরা তিন জনই আছেন অস্ট্রেলিয়া এ্যাশেজ দল। তবে ওয়াহ মনে করেন অস্ট্রেলিয়া একটা অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াকে নতুন করে সেট করতে হয়েছে এবং কিছু জিনিষ পুনরায় বিবেচনা করতে হয়েছে, যা ঘটেছে তার কারণে এটা দুঃখজনক। আমি মনে করি তারা ভাল অবস্থায় আছে। টেস্ট অধিনায়ক টিম পাইন সত্যিই খুব ভাল করছে এবং সে খুবই ভাল একজন অধিনায়ক। আশা করছি অস্ট্রেলিয়া দলকে মাঠে অসিদের মতই খেলতে দেখবে সে। আমাদেরকে আক্রমণাত্মক হতে হবে এবং ইতিবাচক খেলতে হবে। কেননা এভাবেই আমরা ক্রিকেট খেলি।
তিনি আরো বলেন, ‘কেপ টাউনে খুবই খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে এবং সব কিছু ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ভিন্ন ধর্মী দুটি দলের মধ্যে এটি ছিল সাদামাটা একটা সিরিজ। আমি বলতে চাই সেটা এখন অতীত এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে যারা এর সাথে জড়িত ছিল তারা তার মূল্য পেয়েছে।
‘এখন যেটা ভাল বিষয় হচ্ছে- সবাই জানে সব কিছুরই একটা সীমা আছে এবং আপনি সে সীমা লংঘন করতে পারবেন না। ছেলেদের জন্য এক দিক থেকে এটা খুব ভালও ছিল। কারণ সমগ্র অস্ট্রেলিয়াকে নির্দিস্ট করে দেখতে পেয়েছে এবং কোনটা ভুল, কোনটা শুদ্ধ তা বুঝার জন্য এটা একটা ভাল শিক্ষাও ছিল।
বাসস/এএফপি/স্বব/০৯১০/এএমটি