সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে

353

বরগুনা, ২৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দীর্ঘ দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন জেলেরা। জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ পেয়ে খুশি জেলে, ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদাররা। গভীর সমুদ্র থেকে ফেরত আসা ইলিশ বোঝাই ট্রলার নিয়ে এখন ব্যস্ত হয়ে উঠেছে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন মৎস্য বন্দরের আড়তগুলো।
তবে স্থানীয় নদ-নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। নদীর ইলিশ সু-স্বাদু হওয়ায় এ মাছের দাম অনেক বেশি। নদীর মাছ প্রতিমণ বিক্রি হয় ৩০ হাজার টাকা দরে এবং গভীর সমুদ্র থেকে যে ট্রলারগুলো আড়তে ফিরে আসে সে সব ট্রলারের ৭ থেকে ৮শ গ্রামের ইলিশের প্রতিমণ বিক্রি হয় ১৮ হাজার টাকা করে। আবার ৪ থেকে ৫শ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয় ১২ হাজার টাকা দরে। সাগর থেকে ফেরা ট্রলারগুলো প্রতি ট্রিপে ৪ থেকে ৮ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি করছে। এ ইলিশ বরগুনার তালতলী, পাথরঘাটার মৎস্য আড়ত, পটুয়াখালীর আলীপুর-মহিপুর, ঢোস, মৌডুবির আড়ত থেকে রপ্তানিকারকরা ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্নস্থানে বাজারজাত করছেন।
বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৭০টন মাছ বিক্রি হয়েছে, যা থেকে এ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩০ টাকা।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মার্কেটিং অফিসার মো. আহম্মেদ উল্যাহ জানান, গত ৪ দিনে গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪২ টন ইলিশ বিক্রি হয়েছে যা থেকে সরকারি রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩০ টাকা। এভাবে ইলিশসহ অনান্য মাছ উঠলে জেলেদের মুখে যেমন হাসি ফুটবে তেমনি সরকারি কোষাগারেও প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব জমা হবে।
পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী জানান, সাগরে জেলেদের জালে বিভিন্ন সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। দীর্ঘদিন অবরোধের পর মাছ পাওয়ায় খুশি জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। আমার আড়তে গত দুই দিনে ২০০ থেকে ২৫০ মণ ইলিশ এসেছে। ইলিশ পাওয়ায় কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের আড়তগুলোতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহ জানান, অবরোধ শেষে জেলেরা আবার সাগরে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘেœ ডিম ছাড়তে পারে। আর অপরটি হলো- ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। এবার আমাদের অবরোধ ফলপ্রসূ হয়েছে। আগামীতেও এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।