দেশের কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে

166

ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা,জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।
অপর দিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে,অপরদিকে পদ্মা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় গঙ্গা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, ধরলা এবং তিস্তা, নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপর দিকে গঙ্গা-পদ্মা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর এবং ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল,উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ও বিহারের কিছু স্থানে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৪২টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫০টি স্টেশনে হ্রাস পেয়েছে, ১৯টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে ১টি নদীর পানি।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় ১৫৭ মিলিমিটার, টেকনাফে ১২৮মিলিমিটার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৪ মিলিমিটার,রোহানপুরে ৮১ মিলিমিটার, কুষ্টিয়ায় ৭৪ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ৭৩মিলিমিটার, মহাদেবপুরে ৬৬মিলিমিটার এবং রাজশাহীতে ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।