বাসস দেশ-৩০ : শিক্ষিত যুবদের ৯৯ শতাংশই সরকারি চাকরি চান

140

বাসস দেশ-৩০
ব্র্যাক-যুব জরিপ
শিক্ষিত যুবদের ৯৯ শতাংশই সরকারি চাকরি চান
ঢাকা, ২৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশের শিক্ষিত যুবদের ৯৯ শতাংশই সরকারি চাকরি চান। এরমধ্যে ৫৭ শতাংশ নারী এবং ৪২ শতাংশ পুরুষ।
সম্প্রতি ব্র্যাকের এক জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ব্র্যাক, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথভাবে যুব-জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপে দেখা গেছে ধনী ও শিক্ষিতদের অনেকেই চান মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং তাদের নিজস্ব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা লাভ করতে। অপরদিকে শিক্ষাবঞ্চিত বা স্বল্পশিক্ষিত অতিদরিদ্র আর নি¤œবিত্তরা জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। এদের আরো দুটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা এবং সম্পদের মালিক হওয়া। যুবসমাজের মাত্র এক-পঞ্চমাংশ বিশ্বাস করেন তাদের শিক্ষা চাকরি পেতে সহায়তা করবে।
রাজধানীর লেকশোর হোটেলে আজ জরিপের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. জাফর উদ্দিন, ব্র্যাকের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ এবং বিআইজিডি-এর নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন অংশ নেন।
ব্র্যাক যুব জরিপ ২০১৮ শীর্ষক এই জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব। দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর (১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী) সংখ্যা কর্মসক্ষমতাহীন ব্যক্তির (১৫ বছরের নিচে এবং ৬০ বছরের উপরে) সংখ্যার চেয়ে বেশি।
জরিপে পুরো দেশকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চল থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ৩০টি উপজেলা/থানা নির্বাচন করা হয়। সেখান থেকে দুটি ইউনিয়ন/ওয়ার্ড নিয়ে আবার একটি করে গ্রাম/মহল্লা নির্বাচন করা হয়। এরপর দৈবচয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় ১৪ জনকে (সাতজন পুরুষ, সাতজন নারী)। এভাবে ১৫-৩৫ বছর বয়সী মোট ৪,২০০ জনের অভিমত সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪ শতাংশ নারী ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ছিল ১৪ শতাংশের। ইংরেজি ভাষা এবং কম্পিউটার দক্ষতা বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী পাওয়া গেছে মাত্র ১৬ শতাংশ। নারী ও স্বল্পশিক্ষিতদের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কম। ৪০ শতাংশের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও, শহরের তুলনায় গ্রামে এ সুযোগ অনেক কম।
এইচএসসি অথবা এর নীচে শিক্ষাগত যোগ্যতার পুরুষদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ উপার্জনমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। নারীদের ক্ষেত্রে পঞ্চম শ্রেণি থেকে এইচএসসি পর্যন্ত শিক্ষিতদের মাত্র ৫ শতাংশ উপর্জনমূলক কাজে যুক্ত। যারা লেখাপড়া করে না, উপার্জনমূলক কাজে যুক্ত নেই, এমনকি কোন প্রশিক্ষণও (এনইইটি) গ্রহণ করছেন না, এদের প্রায় ৯০ ভাগই নারী। প্রায় ২০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিদেশে কাজ করতে আগ্রহী হলেও তাদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর সংখ্যা বাড়ছে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৬০ শতাংশের উপরে নারীদের নিয়োগ দেয়া হয়। যুবসমাজের উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে যুব গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যুবকদের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চাহিদা নিরূপন করে এসব কেন্দ্র থেকে সহায়তা দেয়া হবে।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/১৮৪২/কেজিএ