রেলের শিডিউল রক্ষায় ইঞ্জিন সংকট বড় বাধা : রেলমন্ত্রী

203

চট্টগ্রাম, ২৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পর্যাপ্ত কোচ থাকলেও রেলের শিডিউল রক্ষায় ইঞ্জিন সংকট সবচেয়ে বড় বাঁধা।
তিনি বলেন, চলমান ট্রেনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিনের সাহায্যে চালাতে গিয়ে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা যাচ্ছে না।
ইঞ্জিন সংকট থাকলেও চলতি বছরে ২২০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ দেশে পৌঁছাবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন,এসব কোচ দিয়ে চলতি বছরে ৫টি ও ২০২০ সালের জুনের মধ্যে ৭টি নতুন ট্রেন চালু করা হবে। এছাড়া ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ভারত থেকে ২০টি ইঞ্জিন ভাড়ায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে রেলওয়ে।
নূরুল ইসলাম সুজন বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এর আগে মন্ত্রী বুধবার সকালে নগরীর হালিশহরস্থ রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমি ও পোর্টইয়ার্ড পরিদর্শন এবং সেখানকার বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, একসময় রেলওয়ের অনেক সুনাম ছিল। সেই সুনাম আবারও ফিরিয়ে আনতে পুরো রেলবিভাগ নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে।
তিনি বলেন,‘রেলের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সবই আমাদের সরকার করবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু করাও রেলওয়ের ডিজিটাল সেবার অংশ।
মিটারগেজের ২৬টি কোচ দিয়ে নতুন ট্রেন চালু করার বিষয়ে নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, রংপুরে মাত্র একটি ট্রেন যাওয়া-আসা করে। যেটির জন্য বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি। কারণ ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ওই ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। সেটি মাথায় রেখে নতুন ২৬টি কোচ দিয়ে ঈদের আগেই একটি নতুন ট্রেন ওই রুটে যুক্ত করা হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৩টি নতুন ব্রডগেজ ট্রেন চালু হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে আরও ১২টি ট্রেন চালু করা হবে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৮টি নতুন বিশেষ ট্রেন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
কোরবানির ঈদের প্রস্তুুতি নিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন,‘রোজার ঈদে যেভাবে আমরা যাত্রীদের সুবিধার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, একই ব্যবস্থা কোরবানের ঈদেও নিচ্ছি।’
তিনি জানান, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে সকল চাপ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে কর্মকর্তারা। অ্যাপসের মাধ্যমে ভোর ৬টা থেকে ও কাউন্টারের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।