বাজিস-৯ : সারিয়াকান্দিতে বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

104

বাজিস-৯
বগুড়া-বাঙ্গালী নদীর পানি
সারিয়াকান্দিতে বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
বগুড়া,২৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলার সারিযাকান্দি উপজেলায় বাঙালী নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া নদীর তীরের অনেক ফসলী ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ১০০ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাঙালী নদী সংলগ্ন সারিয়াকান্দি সদর, ফুলবাড়িও নারচী ইউনিয়নের ২২ টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
যমুনার পানি কমে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। ১৩ জুলাই যমুনার পানি বিপদ সীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। যমুনার পূর্বাঞ্চলে চর গুলোতে বাড়ি-ঘর এখনও পানির নিচে থাকায় মানুষ বাড়িতে ফিরে যেতে পারছে না। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে মানুষ আর গবাদি পশু গাদাগাদি করে খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
জেলার তিনটি উপজেলার ২৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টি পৌরসভাসহ ২৫ টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে । ১৯৭ টি পরিবারের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ক্ষতি গ্রস্ত’ হয়েছে।
এদিকে জেলার বন্যা কবলিত ৩ টি উপজেলা সোনাতলা , সারিয়াকান্দি ও ধুনটের ১৯৭ টি গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। ২৩ হাজার হেক্টর ফসলী জমি পানিতে ডুবে আছে। পাট , আউশ, শাক-সবজি, মরিচ আমন বীজ তলা ও আখসহ ২৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। তিন উপজেলায় ৩ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার , ৭১৭ মেট্রিক টন চাল ও ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, তিন উপজেলায় ১৭৯ টি গ্রামের বন্যা কবলিতদের মাঝে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হচ্ছে এবং হয়েছে। ত্রাণের কোন সংকট নাই। বন্যার পানি নেমে যাবার পর যাদের ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে টিন দিয়ে ঘর-বাড়ি তৈরী করে দেয়া হবে। কৃষকদের পুনর্বাসন করা হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৫২০/নূসী