বাসস দেশ-২৭
বন্যা-পরিস্থিতি
দেশের ৯ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত
ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
অন্যদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ জানিয়েছে, সুরমা-কুশিয়ারা ছাড়া অন্যান্য দেশের সব ধরনের নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল,উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম,পশ্চিম বঙ্গের উত্তরাঞ্চল ও মেঘালয়ের কিছু স্থানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী,দেশের ৫৯ টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। ৩২টি স্টেশনে পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২১টি পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২ টি সমতল স্টেশনের পানি সমতল বিগত ২৪ ঘন্টায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত (গতকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত) সুনামগঞ্জে ১৭২ মিলিমিটার, মহেশখোলায় ১০০ মিলিমিটার, পঞ্চগড়ে ৯৭ মিলিমিটার, লরের গড়ে ৯৫ মিলিমিটার, কানাই ঘাটে ৬৬ মিলিমিটার, কমলগঞ্জে ৬১ মিলিমিটার, জাফলংয়ে ৫৩ মিলিমিটার এবং টেকনাফে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে বন্যা পুনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বাসস/সবি/এসএস/১৯৩০/কেএমকে