বাসস দেশ-৫ : ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

143

বাসস দেশ-৫
হাইকোর্ট-প্রতিবেদন
ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে ৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়
ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : সারাদেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছরে ৬ কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে,এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পক্ষে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন দেখে আদালত আদেশ দেয়, আদেশে সারাদেশে গাড়ির ফিটনেস নবায়নে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের পর আর কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ী রাস্তায় চলতে পারবেনা বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এ আদেশটি গণমাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারে বিআরটিএ’র প্রতি আদেশ দেয়া হয়েছে।
বিআরটিএ’র প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। বিআরটিএ এর পক্ষে ছিলেন রাফিউল ইসলাম। আদালতে ব্যারিষ্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং দুদকের পক্ষে সৈয়দ মামুন মাহবুব বিষয়টি নিয়ে মতামত দেন।
এর আগে গত ২৪ জুন এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের তথ্য জানতে চায় হাইকোর্ট। আদালতের তলবে বিআরটিএ-এর পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী ওইদিন হাজির হওয়ার পর হাইকোর্টের এ বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। একই সঙ্গে সারাদেশে থাকা রেজিস্ট্রেশনধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কি ব্যবস্থা নিয়েছে তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান ও বিআরটিএ-এর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে বলা হয়।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার গত ২৩ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব আদালতের নজরে আনেন। এরপর ২৭ মার্চ আদালত রুলসহ আদেশ দেয়।‘রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধান সমূহ সঠিকভাবে পালনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা সংশ্লিষ্টদের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৫১৫/এমএবি