প্রিয়া সাহার মিথ্যাচারের বিচার চেয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট

389

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার চেয়েছে।
হিন্দু-বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আজ এক সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল বলেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার অভিযোগ বাস্তবসম্মত নয়। ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, এ তথ্য বানোয়াট, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের অভ্যন্তরিন বিষয়ে অন্য দেশের নিকট বিচার চাওয়া গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রিয়া সাহার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।’ কাদের প্ররোচনায় কোন উদ্দেশ্যে প্রিয়া সাহা এই মিথ্যাচার করেছেন, সে বিষয়ে তিনি একটি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়–য়া, খ্রিস্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও সচিব নির্মল রোজারিও। আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি এডভোকেট উজ্জল প্রসাদ কানু, পরিতোষ কান্তি সাহা, শ্যামল ভট্টাচার্য্য, দয়াল কুমার বড়–য়া, ডালিম কুমার বুড়–য়া ও জে. এম. সুব্রত হাজরা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্মল রোজারিও বলেন, ‘এ ধরনের বক্তব্য হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বা কল্যাণ ট্রাস্ট অথবা অন্য কোন সংগঠন বা ব্যক্তির পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অতীতে কখনো দেয়া হয়নি। এই হিসাব তিনি কিভাবে বের করেছেন তা তিনি নিজেই বলতে পারবেন।’
প্রিয়া সাহার বক্তব্য দেশের শুভবোধসম্পন্ন সব মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত করেছে উল্লেখ করে সুব্রত পাল বলেন, ‘দেশের সর্বস্তরের মানুষ তার এই অপকর্মের জন্য ধিক্কার জানাচ্ছে ও নিন্দা করছে। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্ররোচনাকারী গোষ্ঠী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।’
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘ধর্মান্ধ উগ্র-জঙ্গিবাদের বর্তমান সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। সকল ধর্মের সম্প্রীতির ফলেই মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি। সকল সাম্প্রদায়িকতাকে কঠোর হাতে দমন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, ‘ধর্ম যার যার, বাংলাদেশ সবার’। এই অর্জনকে কোনভাবেই ভুলন্ঠিত হতে দেয়া হবে না।’