বাসস ক্রীড়া-২ : কেনের অসাধারণ গোলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে টটেনহ্যামের জয়

160

বাসস ক্রীড়া-২
ফুটবল-প্রীতি
কেনের অসাধারণ গোলে জুভেন্টাসের বিপক্ষে টটেনহ্যামের জয়
সিঙ্গাপুর, ২২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ৯৩ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে অসাধারণ এক গোলে টটেনহ্যাম হটস্পারকে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে জয় উপহার দিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ইনজুরি টাইমে কেনের ঐ গোলে সিঙ্গাপুর সফরে জুভেন্টাসকে ৩-২ গোলে পরাজিত করেছে স্পারসরা।
লুকাস মৌরার শর্ট পাস থেকে কেন মাঝ মাঠ থেকে এগিয়ে আসা বদলী গোলরক্ষক ওজিচেক সিজিসনির মাথার উপর দিয়ে বল জালে প্রবেশ করালে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উপস্থিত দর্শকরা হতবাক হয়ে যায়। নতুন ম্যানেজার মরিজিও সারির অধীনে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা এই প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল।
ম্যাচ পরবর্তী এক সাক্ষাতকারে কেন বলেছেন, ‘সম্ভবত এটাই আমার ক্যারিয়ারের এখন পর্যন্ত সেরা গোল। আমি দেখেছি গোলরক্ষক তার লাইন ছেড়ে অনেকটাই বাইরে চলে এসেছে। আর সেই সুযোগটাই আমি কাজে লাগিয়েছি। আমার সৌভাগ্য যে বলটি নিখুঁতভাবে জালে প্রবেশ করেছে।’
তারুণ্যনির্ভর স্পারসরা প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটাই আধিপত্য দেখিয়েছে। উল্টো সারির ‘নতুন কৌশলের’ সাথে মানিয়ে নিতে জুভেন্টাসের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ছোট-ছোট ও দ্রুত পাসে খেলতে গিয়ে জুভেন্টাস প্রায়ই খেই হারিয়ে ফেলছিল। যে কারণে বল নিয়ে এগিয়ে যাবার পরিবর্তে প্রায়ই তাদেরকে রক্ষনভাগে বল নিয়ে যেতে হয়েছে। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে টটেনহ্যাম। অনেকটাই চাপ প্রয়োগ করে জুভেন্টাসকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল প্রিমিয়ার লিগের দলটি। ৩০ মিনিটে সং হেয়াং-মিন ১৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ট্রয় প্যারোটের দিকে বল বাড়িয়ে দেন। প্যারোট সহজেই বলটি পাস করে দেন আনমার্কড এরিক লামেলাকে। অভিজ্ঞ গোলরক্ষক গিয়ানলুইজি বুফনকে পরাস্ত করতে কোন ভুল করেননি লামেলা।
স্পারস ম্যানেজার মরিসিও পোচেত্তিনো বলেছেন, ‘এটা সত্যিই দারুন প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল। সত্যি কথা বলতে কি আমাদের এখনো প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে। প্রাক মৌসুমে এত দ্রুত এই ধরনের খেলার পরিকল্পনা ছিলনা। দীর্ঘ মৌসুমকে সামনে রেখে আমরা এখনো কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রামে রাখার আশা করছি। এই ধরনের ম্যাচে ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন মৌসুমের জন্য আমরা নিজেদেরকে কিভাবে প্রস্তুত করে তুলছি।’
বিরতির পর জুভেন্টাসই বেশী সাফল্য পেয়েছে। নিজেদের আক্রমনের ধার বাড়িয়ে দিয়ে ৫৬ মিনিটেই সফল হয় তুরিনের জায়ান্টরা। ফেডেরিকো বার্নারডেশীর সহায়তায় ৫৬ মিনিটেই বদলী খেলোয়াড় গঞ্জালো হিগুয়েইন জুভেন্টাসের পক্ষে সমতা ফেরান। চার মিনিট পর মাত্তিয়া ডি সিগলিওর কাটব্যাক থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুভেন্টাসকে এগিয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে টানগাই এডোম্বেলের লো ক্রস থেকে লুকাস মৌরা স্পারসদের পক্ষে সমতা ফেরান। ইনজুরি টাইমে কেনের ঐ গোল না হলে দু’দলকে ম্যাচের ফলাফলের জন্য পেনাল্টি শুট-আউট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।
বাসস/নীহা/১৬২০/স্বব