বাসস দেশ-২৩ : বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন জনরোষের প্রতিফলন

107

বাসস দেশ-২৩
হাছান-খালেদা-ব্রিফিং
বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন জনরোষের প্রতিফলন
ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস): তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনরোষের প্রতিফলনে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন ঘটেছে এবং বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের কারনে দলটিকে গণমানুষ ঘৃণা করে থাকে। তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার হুমকি তামাশা ব্যতিত আর কিছু মনে করি না। বিএনপিকে সাধারন মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া উচিত বলে মনে করি।‘
মন্ত্রী আজ তথ্য মন্ত্রনালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এর আগে জনগনকে জিম্মি করে দেশব্যাপী সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষ হত্যা করেছিলো। এ কারণে জনরোষের প্রতিফলনে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক পতন ঘটেছে।
তিনি বিএনপিকে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজমান বলে বিশ্ববাসী জানেন। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রীলংকা সফরে গিয়ে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশিলতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির’ কথা উদাহরণ দিয়েছেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ দেশের কোন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে পান না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘কেউ আর বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে ভীত নয়।’ তিনি বলেন, দেশবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসাবে বিশ্বে পরিচিত লাভ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিকট বাংলাদেশী নাগরিক প্রিয়া সাহার অভিযোগ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,‘ পিয়া সাহার মন্তব্য বাংলাদেশের স্বার্থ পরীপন্থি।’ বিশ্ববাসী জানেন বাংলাদেশের জনগন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রিয়া সাহার ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ গ্রহন করবে। তিনি বলেন,‘বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে প্রিয়া সাহা মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। তার বক্তব্য দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কোন ষড়যন্ত্র কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রিয়া সাহা কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসাবে অন্তভুক্ত হলো তা তদন্ত করে দেখা হবে।
বাসস/এএসজি/পিএসবি/অনু/কেকে/১৮১০/কেএমকে