বাসস দেশ-২৬ : ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত ও তা নিরসনে ১২ সুপারিশ

194

বাসস দেশ-২৬
দুদক-প্রতিবেদন
ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতির ১১টি উৎস চিহ্নিত ও তা নিরসনে ১২ সুপারিশ
ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০১৯ (বাসস) : ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতির ১১টি সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত এবং তা নিরসনে ১২ টি সুপারিশসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রণিত একটি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দুদকের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের নিকট এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
সমবায় মন্ত্রী দুর্নীতি দমন কমিশনের এ জাতীয় কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, দুর্নীতি দেশের অর্থনীতিসহ সব ধরনের অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধক। তাই মন্ত্রণালয়ের কোনো স্তরেই দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন , কমিশনের এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে কর্মকর্তার কোনো প্রকার গাফলতি কিংবা শৈথিল্য আছে কি-না তা চিহ্নিত করা হবে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে দুদক কমিশনার বলেন, দুদক ২০১৭ সালে দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধানের পদ্ধতিগত ত্রুটি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবসহ বিবিধ কারণে যে সকল দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয় তার উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধে বা প্রতিরোধে পৃথক পৃথক ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করে। এ পর্যন্ত কমিশন ১৩টি প্রতিবেদন ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করেছে।
ওয়াসার প্রতিবেদনটি ১৪তম প্রতিবেদন জানিয়ে দুদক কমিশনার বলেন, এই প্রতিবেদনে দুর্নীতির ১১টি সম্ভাব্য উৎস চিহ্নিত করে তা নিরসনে ১২টি সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কমিশনের এ প্রতিবেদন কোনো বিশেষজ্ঞ মতামত সংবলিত প্রতিবেদন নয়, তবে এটি কমিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিমের প্রতিবেদন। টিম বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
বাসস/সবি/এফএইচ/১৮৫৫/কেএআর