বাসস দেশ-১৬ : রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আহবান

173

বাসস দেশ-১৬
মোমেন-যুক্তরাষ্ট্র-রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর আহবান
ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর সম্ভাব্য সব ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে মার্কিন আইন প্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক করেন। এ সময় তিনি তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বৈঠকে মার্কিন আইনপ্রণেতারা এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ ব্যাপারে তারা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ সময় মোমেন মিয়ানমার সৃষ্ট রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো রাজনৈতিক ও মানবিক সমর্থন দেয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন।
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এদেশে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই দমনপীড়নকে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী সিনেটর জেমস ই. রিচ ও সিনেটর বব মেনেন্ডেজের সাথে বৈঠক করেন। জেমস (রিপাবলিকান-আইদাহো), চেয়ারম্যান, সিনেট ফরেন রিলেশন্স কমিটি এবং মেনেন্ডেজ (ডেমোক্র্যাট-নিউজার্সি), একই কমিটির ব্যাংকিং মেম্বার।
তিনি কংগ্রেস সদস্য এলিওট এঙ্গেল, কংগ্রেস সদস্য ব্র্র্যাড শেরম্যান ও কংগ্রেস সদস্যা গ্রেস মেংয়ের সাথেও বৈঠক করেন।
এলিওট (ডেমোক্র্যাট-নিউইয়র্ক), চেয়ারম্যান, হাইজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি, শেরম্যান (ডেমোক্র্যাট-ক্যালিফোর্নিয়া), চেয়ারম্যানম সাবকমিটি অব এশিয়া, দ্য প্যাসিফিক ও ননপ্রলিফারেশন, অব দ্য হাউজ কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্স, মেং ডেমোক্র্যাট- নিউইয়র্ক)।
বৈঠকগুলোতে মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন। এসময় মার্কিন আইনপ্রণেতারাও বাংলাদেশের এই উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এসব বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে সেকেন্ড মিনিস্টারেল টু অ্যাডভান্স রিলিজিয়াস ফ্রিডমে অংশ নিতে মোমেন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডি.সি. সফর করছেন। ২০১৯ সালের ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এটি আয়োজন করা হবে।
বাসস/সবি/অনু-কেএআর/১৭২৫/-আসচৌ