বাসস দেশ-২ : এসডিজি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর

183

বাসস দেশ-২
জাতিসংঘ- পরিকল্পনামন্ত্রী
এসডিজি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : এসডিজি বাস্তবায়নে উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসমূহকে আর্থিক ও কারিগরি সক্ষমতা তৈরিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বুধবার জাতিসংঘের চলতি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ) এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ কান্ট্রি স্টেটমেন্টে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান।
২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির পূর্ণ বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এক্ষত্রে উন্নয়ন অংশীদার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাসমূহকে আর্থিক ও কারিগরি সক্ষমতা তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি তার বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এসডিজি বাস্তবায়ন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে সমাজের সকলকে সাথে নিয়ে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি যাতে প্রতিটি নাগরিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারে এবং উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ এর হিসাব মতে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশ। বৈশ্বিক নি¤œমুখী প্রবৃদ্ধি হার সত্ত্বেও বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে ৭ ভাগের ওপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। তিনি বাংলাদেশের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ এর প্রত্যাশার কথাও এই ফোরামে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী উন্নয়ন পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের মধ্যে দু’অঙ্ক বিশিষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং আয় বৈষম্য কমাতে সর্বোচ্চ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কর্মসূচি রয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি তৈরিতে আমরা মানসম্মত শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছি। নারী শিক্ষাকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে লিঙ্গসমতা অর্জিত হয়। নাগরিকদের উন্নত সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ স্যোশাল সিকিউরিটি কৌশল’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিটেন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করছে এবং গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি, বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, তথ্যপ্রযুক্তির বিস্তার ও যুবকেন্দ্রিক উন্নয়ন ভাবনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
বাসস/তবি/এফএইচ/১৪১৮/এমএবি