বাজিস-৬ : রংপুরের পীরগঞ্জে গত আটবছরে ৮২টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে

167

বাজিস-৬
রংপুর- উন্নয়ন
রংপুরের পীরগঞ্জে গত আটবছরে ৮২টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে
রংপুর, ১৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদী ও খালের উপরে গত আটবছরে ৮২টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৮২টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণে প্রায় ১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাসসকে জানান, জনগনের চলাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে পল্লী এলাকায় বেশিরভাগ সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বনি¤œ ৮মিটার সর্বোচ্চ ১৮মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৪.৫ মিটার প্রস্থে সেতু ও কালভার্টগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
তিনি জানান,উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ভাদুরার ঘাট হতে ছিলিমপুরগামি সড়কের মরা নদীর উপর, ড. এমএ ওয়াজেদ সেতু থেকে দুধিয়াবাড়ি স্কুল হয়ে টুকুরিয়াহাটগামি সড়কের উপরে, টুকুরিয়াহাট থেকে আটিয়াবাড়ি সড়কে, দুধিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে টুকুরিয়াহাটগামি সড়কের কদমতলিতে, আটিয়াবাড়ি হতে বাবুর চিলি সড়কের নকরের ঘাটে, ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের মথুরাপুর হতে পানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গামি সড়কে, সন্দোলপুর হতে সুরানন্দপুরগামি সড়কে, কুমেদপুর ইউনিয়নের মহদীপুর শরীফের পাড়া হতে কুমেদপুর বাজারগামি সড়কের আঁখিরা খালের উপরে, চতরা ইউনিয়নের মাটিয়ালপাড়া হতে ঘোড়াঘাটগামি সড়কের ভেরতরি নামক স্থানে, বড়বদনাপাড়া হতে ঘোড়াঘাটগামি সড়কে, শানেরহাট ইউনিয়নের রহমতপুর সড়কে, রামনাথপুর ইউনিয়নের চেরাকপুর-সরলিয়া সড়কের আঁখিরা খালের উপরে, কাবিলপুর ইউনিয়নের গাংজোয়ার-শিমুলতলা বাজার সড়কের হাজীর ঘাটে, রায়পুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর-দ্বাড়িকামারি সড়কের শশ্বানঘাটে, চান্দের বাজার-খস্টি সড়কের আঁখিরা খালের উপরে, চৈত্রকোল ইউনিয়নের জলাইডাঙ্গা-দানিশনগর সড়কের মরা নদীর উপরে ১৫ মিটার ও ১৮মিটার দৈর্ঘ্যে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নির্মিত সেতু- কালভার্টগুলো নির্মাণের ফলে জনসাধারণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে। ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ মানুষের যাতায়াত সহজ হয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল বাসসকে জানান, সেতু নির্মাণে কাজের গুনগত মান খুবই ভালো, এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। বিগত ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কয়েকটি অর্থবছরে ওই সংখ্যক সেতু ও কালভার্টগুলো নির্মাণ করা হয়।
তিনি জানান, ২০১৯ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ১৮টি সেতু- কালভার্ট নির্মাণে সম্প্রতি দরপত্র গ্রহন করা হয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৬২৫/এমকে