বাসস দেশ-৩৬ : ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের বাইরের গবাদিপশুর প্রবেশ নিষিদ্ধ

268

বাসস দেশ-৩৬
কুরবানী-পশু-সভা
ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত দেশের বাইরের গবাদিপশুর প্রবেশ নিষিদ্ধ
ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে সকল প্রকার গবাদি পশুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুর সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয়স সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, সারাদেশে এবার কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রাায় ১ কোটি ১৮ লাখ।
প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পশু ব্যবসায়ীর নিকট থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায়রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনিয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি সুন্দর ও নিরুদ্বিগ্ন ঈদ উদযাপনের লক্ষে সরকারি- বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার কার্যকর সহযোগিতাও কামনা করেন।
সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় এই ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরুপন, কুরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্ত পথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদি পশুর প্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। পূর্বে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।
এবার সারাদেশে কুরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ েেকাটি ১০ লাখ পশুর কুরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়।
গতবছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কুরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সভায় জানানো হয়, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে।
ঢাকায় ২ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কুরবানির হাটবাজারেও ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।
বাসস/সবি/এমএন/২০১৫/- জেজেড