বাজিস-১৩ : সিলেটে নদনদীর পানি কমছে, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত

333

বাজিস-১৩
সিলেট- বন্যা
সিলেটে নদনদীর পানি কমছে, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত
সিলেট, ১৬ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সবগুলো নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। বন্যার্ত মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।
সিলেট জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৭২ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভায় ৩ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের জন্য ২৩৪ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৪ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, সিলেটে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও পানি বিপদসীমার উপরে অবস্থান করছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারা নদীর পানি আজ ৩০ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধসহ দুর্গতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সর্বত্র আমাদের টিম কাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এদিকে বন্যার কারনে জাফলং, বিছানাকান্দি, ভোলাগঞ্জসহ সবক’টি কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় নিরাপত্তাজনিত কারণে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিছানাকান্দিসহ নদী সংশ্লিষ্ট পর্যটন এলাকায় পর্যটন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
অন্যদিকে, সিলেট নগরীতে বন্যাদুর্গত ৯০টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।এছাড়াও জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে আরো তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে অন্তত একশ’টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান মজুমদার জানান, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত পাঁচশ’ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৮ লাখ টাকা এবং দুইহাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং বন্যা কবলিত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ত্রাণ বরাদ্দ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/২০১০/এমকে