বাসস দেশ-২২ : খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন ও তার পিতার হত্যা মামলায় ৫জনের মৃত্যুদন্ড

161

বাসস দেশ-২২
হত্যা মামলা-রায়-ফাঁসি
খুলনায় ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন ও তার পিতার হত্যা মামলায় ৫জনের মৃত্যুদন্ড
খুলনা, ১৬ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : নগরীর এক্সিম ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণের পর খুন এবং তারা পিতা ইলিয়াছ চৌধুরী হত্যাকান্ডের ঘটনায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন তৃতীয় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে পারভীন সুলতানা হত্যা মামলায় প্রত্যেক আসামীকে এক লাখ টাকা এবং ইলিয়াস চৌধুরী হত্যা মামলায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া হত্যাকা-ের পর লাশ গুম করার অপরাধে প্রত্যেক আসামীকে আরও ৭ বছর কারাদ- দেয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি ফরিদ আহমেদ।
তিনি জানান, মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো, খুলনা মহানগরীর লবণচরা থানার বুড়ো মৌলভীর দরগাহ রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই মো. শরিফুল ইসলাম (২৭), মো. আবুল কালামের ছেলে মো. লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে মো. আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)।
তাদের মধ্যে হত্যাকান্ডের পর থেকেই আসামি শরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
বাকিরা আজ আদালতে উপস্থিত ছিল।
আইনজীবী ফরিদ জানান, হত্যাকান্ডের মামলায় ২২জন ও গণধর্ষণের মামলায় ২৮জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। আসামিদের মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে লোমহর্ষক এ হত্যাকা-ের বর্ণনা রয়েছে।
মামলার তদন্ত চলাকালে হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ৫জনের মধ্যে ৪জন গ্রেফতার হয়। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় পিটিলের স্ত্রী আসমা খাতুন, নোয়াব আলি গাজী ও আসলাম মিস্ত্রি নামের একজন সন্দেহভাজনকে। তাদের মধ্যে লিটন ও সাঈদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে উঠে আসে লোমহর্ষক হত্যাকা-ের ঘটনা। লিটন ও সাঈদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলে, ব্যাংক কর্মকর্তা পারভীন অফিসে আসা-যাওয়ার পথে আসামিরা কু-প্রস্তাবসহ নানাভাবে যৌন হয়রানি করতো। এর প্রতিবাদ করায় ঘটনার দিন রাতে দেয়াল টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ৫ আসামি। এরপর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পারভীনের বাবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পাশের রুমে থাকা পারভীনকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণের পর হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকির মধ্যে বাবা ও মেয়ের মরদেহ ফেলে দেয়া হয়। পরে ঘরে লুটতরাজ চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
আইনজীবী ফরিদ আহমদে জানান, নগরীর লবণচরা থানার বুরো মৌলভীর দরগা এলাকার ৩নং গলির ঢাকাইয়া হাউজ এ.পি ভিলা নামের বাড়িতে ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে নৃশংস এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লবনচরা থানায় পারভীন সুলতানার ভাই রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদি হয়ে ঘটনার পরের দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পারভীন সুলতানাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে ২২ সেপ্টেম্বর আরও একটি মামলা হয়।
২০১৬ সালের ৯মে হত্যাকা-ের ও একই বছরের ২৪ মার্চ গণধর্ষনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. কাজী বাবুল ৫জনকে অভিযুক্ত করে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাসস/ জেডএইচ/এফএইচ/১৮১০/-জেজেড