বাসস দেশ-২১ : মৌলভীবাজার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

390

বাসস দেশ-২১
মৌলভীবাজার-বন্যা
মৌলভীবাজার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
মৌলভীবাজার, ২০ জুন, ২০১৮ (বাসস) : মৌলভীবাজার জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়া এবং মনু ও ধলাই নদীর পানি সকল পয়েন্টেই এখন বিপদ সীমার নীচে প্রবাহিত হওয়ায় মৌলভীবাজার পৌরসভা, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে রাজনগর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।
মৌলভীবাজার শহরের ঘরবাড়ি ও রাস্তা ঘাট থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। শহরের বড়হাটের বাড়ইকোনায় মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজও শুরু হয়েছে।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও বিপদ সীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাজনগর উপজেলার কালাইরগুলে বাঁধের ভাঙ্গন দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানি মনু প্রকল্পের ভেতরে প্রবেশ করায় রাজনগর উপজেলার উত্তরবাগ, ফতেহপুর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
অপর দিকে একই ভাঙ্গন দিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ও একাটুনা ইউনিয়নের বেশক’টি এলাকা বন্যা-প্লাবিত হয়েছে। বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় জনগণ মেরামতের চেষ্টা করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটের বারইকোনা ভাঙ্গন মেরামত কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পন্ন করেছে মৌলভীবাজার পৌরসভা। ফলে মনু নদের পানি শহরে প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। এখন নতুন করে উজানের ভারি বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ি ঢল না হলে শহর থেকেও রাতের মধ্যে পানি নামতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বুধবার দুপুরে মনু নদীর শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বাঁধের ভাঙ্গন দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দেন ।
জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম বাসসকে জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ১শ’৪৩ মেট্রিকটন চাল ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ৬৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পূনবার্সনের জন্য বরাদ্ধ হয়েছে ১ হাজার বান্ডিল টিন এবং ৩০ লাখ টাকা।
মৌলভীবাজারে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রবাসীরা নিজ উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে।
বাসস/সংবাদদাতা/জেডআরএম/১৯২৫/অমি