বাজিস-৬ : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১০

186

বাজিস-৬
সিরাজগঞ্জ-নিহত-১০
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রেলক্রসিংয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১০
সিরাজগঞ্জ ,১৬ জুলাই,২০১৯ (বাসস) : ঢাকা-রাজশাহী রেলপথের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়ের শাহী কোলায় সোমবার সন্ধ্যার আগে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও বিয়ের যাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর-কনেসহ নিহতের সংখ্যা দাাঁড়িয়েছে দশজন । এসময় ৬জন আহত হয়েছে। । নিহতদের মধ্যে ৭জন পুরুষ ও দুজন নারী রয়েছে। মৃতরা হলো-সিরাজগঞ্জ শহরের কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে রাজন (২৫), উল্লাপাড়া পৌরশহরের এনায়েতপুর গুচ্ছ গ্রামের আব্দুল গফুর সেখের কনে সুমাইয়া খাতুন (১৯), সয়াধানগড়া সুরুজ শেখের ছেলে সবুজ (২১), রামগাতী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুস সামাদ (৫৫) ও তার ছেলে শাকিল হোসেন (২১), সয়াগোবিন্দ মিলন মোড় এলাকার মৃত একরামুলের ছেলে মাইক্রোবাসের চালক স্বাধীন (৪০) ও দিয়ারধানগড়া আলতাফ হোসেনর ছেলে শরীফ (২৬), কালিয়া হরিপুর চুনিয়াহাটির মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভাষা সেখ (৫৫) । বাকী ২ জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতরা হলো-নাদেম তালুকদার (১৮), বায়েজিদ (১৮), নিরব তালুকদার (১৪), সুমন (২৭), নাজমুল আহসান (২৫) ও ইমরান (২০)। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ জানান, বর যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস উল্লাপাড়ার গুচ্ছ গ্রামে বিয়ে শেষে সিরাজগঞ্জের কান্দাপাড়ায় আসার পথে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হবার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে অন্তত ২৫০ গজ ঠেলে নিয়ে গিয়ে থেমে যায়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা বর-কনেসহ ১০জন ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং ৬জন আহত হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ জনের লাশ জিআরপি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কওশিক আহমেদ জানান, দীর্ঘদিন যাবত রেলপথটি অরক্ষিত রয়েছে। স্থানীয়রা বিভিন্ন সময় দাবী জানানোর পরই কোন কাজ হয়নি। দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার মানুষ দ্রুত রেলক্রসিং গেট নির্মাণের দাবীতে ট্রেনটি আটকে দেয়। পরে একমাসের মধ্যে রেলগেট নির্মাণের আশ^াস দেয়ার পর ট্রেনটি ছেড়ে দেয়া হয়।
নিহত বর রাজনের বোন জানান, চোখের সামনে ট্রেনটি ধাক্কা দিল মাইক্রোবাসটি। মাইক্রোসটিকে ঠেলে নিয়ে গেলো অনেক দূুর। গাড়ীর ভিতর থেকে সবাই বাঁচার জন্য আর্তচিৎকার করছিল। চোখের সামনে সবকিছু শেষ হয়ে গেলো।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪-১১/নূসী