ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জাতীয় পাটির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় নামাজে জানাজা আজ বাদ আসর জাতীয় মসজিদে বায়তুল মোকাররম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ এম.আবদুল্লাহ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যাক লোক অংশ নেন।
জাতীয় মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজার আগে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের এমপি উপস্থিত সকলের কাছে এরশাদের ভুলক্রটির জন্য ক্ষমা চান এবং সবার কাছে এরশাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া প্রার্থনা করেন। এর আগে পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি এরশাদের কর্মময় জীবনের সংক্ষিপ্ত বিবরণী পাঠ করেন।
এর আগে আজ দুপুর ১২টা থেকে এরশাদকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাখা হয়। সেখান থেকে মরদেহ বায়তুল মোকাররম মসজিদে জানাজার জন্য নেয়া হয়।
আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের ২য় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে এরশাদের মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নেয়া হয়। এ সময় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের এমপি , মহাসচিব জেনারেল মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি , সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি এবং পার্টির কেন্দ্রীয় তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিয় নেতা এরশাদকে শেষ বারের মত শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাজধানী ঢাকা ও আশ-পাশের জেলার বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী পার্টির কার্যালয়ের সামনে এসে ভিড় জমায়। এ সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
উল্লেখ্য, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রোববার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। আজ রাতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে এরশাদের মরদেহ রাখা হবে এবং আগামীকাল হেলিকপ্টারে রংপুরে নেয়া হবে।