নীলফামারীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪৫০ টন চাল ও চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ

281

নীলফামারী, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : চলতি বন্যায় জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ওই দুই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ হাজার ১৪০ পরিবারের মাঝে পর্যায়ক্রমে এসব ত্রাণ ও টাকা বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বন্যায় জেলার দুই উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ১৪০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ডিমলা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের পরিবারসংখ্যা ৬ হাজার ৬৩০টি এং জলঢাকা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে ৫১০টি পরিবার। প্রতি পরিবারে চারজন করে সদস্য ধরে মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২৮ হাজার ৫৬০ জন।
ডিমলা উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৬হাজার ৬৩০টি পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে ৫ হাজার ৫০ টি পরিবারের মাঝে। এরমধ্যে পূর্বছাতনাই ইউনিয়নে ৮৯২টি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ৪৯৬ টি, ঝুনাগাছচাপানী ইউনিয়নে ১ হাজার ১৭২টি, খালিশাচাপানী ইউনিয়নে ১ হাজার ৬৫টি, পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নে ৪৬৫টি, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ৭৮০টি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নে ১৮০টি পরিবার রয়েছে।
অন্যদিকে, জলঢাকা উপজেলায় ৫১০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে শৌলমারী ইউনিয়নে ৩০০টি, গোলমু-া ইউনিয়নে ২১০টি পরিবার রয়েছে।
দূর্যোগ মোকাবেলায় এ পর্যন্ত জিআর ৪৫০ মেট্রিকটন চাল, জিআর ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শুকনা খাবার ৪ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ওই বরাদ্দ থেকে দুই উপজেলায় আজ সোমবার পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিকটন চাল, ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২ হাজার দু’শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াৎ বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ওই বরাদ্দ থেকে পর্যায়ক্রমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’