বাসস ক্রীড়া-১৭ : রোমঞ্চকর ফাইনালে পরাজয়ের যন্ত্রণায় কাতর নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা

116

বাসস ক্রীড়া-১৭
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
রোমঞ্চকর ফাইনালে পরাজয়ের যন্ত্রণায় কাতর নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা
ওয়েলিংটন, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : শিরোপার একেবারে কাছে এসেও শুধুমাত্র বাউন্ডারি ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন হবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া নিউজিল্যান্ড সমর্থকদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে।
এই ঘটনায় নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড শিরোনাম করেছে, ‘বিশ্বকাপ শেষ। ব্ল্যাক ক্যাপসরা শূন্য রানে হেরেছে।’
পত্রিকার কলামে লেখা হয়েছে, ‘এটা যেমন নিষ্ঠুর, তেমনি অবিশ্বাস্য। এটি ছিল সর্বকালের সেরা ক্রীড়া লড়াইয়ের একটি, যা আপনি আগে কখনো দেখেননি এবং এটা নিউজিল্যান্ডের হৃদয় ভেঙ্গে দিয়েছে।’
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে ভর করে আন্ডার ডগ নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। ১২ হাজার মাইল দূরে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল দেখতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে নিউজল্যান্ডবাসী। রাত জেগে পাবে, কলেজ ক্যাম্পাস কিংবা ঘরে টেলিভিশনের পর্দায় তারা ম্যাচটি উপভোগ করছিল। কিন্তু রোমঞ্চকর এক পরিসমাপ্তিতে ইংল্যান্ড যখন চ্যাম্পিয়ন শিরোপা লাভ করে তখন উবে যায় কিউইদের সব রেমাঞ্চ।
৫০তম ওভারের শেষ বলে ইংল্যান্ড ২৪১ রান সংগ্রহ করলে টাই হয়ে যায় ম্যাচ। এরপর ¯œায়ুক্ষয়ী সুপার ওভারেও ১৫ রান করে সংগ্রহ করে দল দুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসেবে এগিয়ে থাকায় ইংলিশদের হাতে উঠে শিরোপা।
নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনের সড়ক সোমবার জনশূন্য হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করে স্থানীয় রেডিও স্টেশন। কারণ পরাজয়ের শোকে মূহ্যমান কিউই জনগণ এদিন ছুটি নিয়ে ফেলেছিল। এক টুইট বার্তায় নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটরা স্কট স্টাইরিস লিখেছেন, ‘আইসিসির দারুন কর্মকান্ড।’ ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক সংস্থার বাউন্ডারী নিয়মকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, ‘এটি সেরা একটি কৌতুক।’ এই হারকে ‘নিষ্ঠুর’ আখ্যা দিয়েছেন সাবেক কিউই অধিনায়ক স্টেফেন ফ্লেমিং।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘ছেলেদের হৃদয় ভেঙ্গে গেছে, তারা বিধ্বস্ত। এটি মেনে নেয়া কঠিন।’
নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী গ্রেন্ট রবার্টসন তার টুইটারে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা, যেটি প্রায়ই সেন্টিমিটারে নিস্পত্তি হয়। আজও তেমনটি হয়েছে।’
এদিকে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিনাঞ্চলীয় দ্বীপ শহর ক্রাইস্টচার্চে বসবাসকারী ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকসের পিতা জেরার্ড স্টোকস বলেছেন, তার ছেলের কর্মকান্ডে তিনি রোমঞ্চিত। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য বেশী হতাশ। ট্রফিটি ভাগাভাগি করে দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘তারা ট্রফিটি ভাগাভাগি করে দিতে পারতো।’
রাত জেগে টেলিভিশনের পর্দায় ম্যাচটি উপভোগ করা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেন, তিনি ছেলেদের জন্য গর্ববোধ করা ছাড়া অন্য কিছুই অনুভব করছেন না। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টের মাধ্যমে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সুপার ওভারের কারণে একটি জাতি হিসেবে আমাদের বয়স এক বছর বেড়ে গেছে। আমি গর্ববোধ করা ছাড়া আর কিছুই অনুভব করছি না। (নিউজিল্যান্ড) কি দারুন একটি দল।’
বাসস/ওয়েবসাইট/এমএইচসি/১৮১৫/স্বব