বাজিস-১ : জয়পুরহাটে কৃষি এপস ব্যবহার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা

294

বাজিস-১
জয়পুরহাট- কৃষি এপস ব্যবহার
জয়পুরহাটে কৃষি এপস ব্যবহার করছে কৃষাণ-কৃষাণীরা
জয়পুরহাট, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : কৃষি এপস ব্যবহার করে বর্তমান সরকারের ভিশন অনুযায়ী ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে জয়পুরহাটের কৃষাণ-কৃষাণীরা।
কৃষি এপস ব্যবহার করে বর্তমানে সুফল পাচ্ছেন জয়পুরহাট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষাণ-কৃষাণীরা। ফসলের যে কোন ধরণের সমস্যা ও সমাধানের জন্য কৃষি এপ্স ব্যবহার করে ঘরে বসেই সেবা পাওয়ার ফলে জেলার কৃষাণ-কৃষাণীদের আর কৃষি অফিসে যেতে হয়না। ডিজিটাল কৃষি সেবা পেতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবিত কৃষকের জানালা, কৃষি কল সেন্টার ১৬১২৩, অনলাইন সার সুপরিশ, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা ৩৩৩১, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, ই-বালাইনাশক বিষয়ে ঘরে বসেই জানতে পারছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।
রাবেয়া খাতুন, একজন কৃষি এপ্স ব্যবহারকারী। বাড়ি সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের কড়ই গ্রামে। কথা হলো কৃষি এপ্স ব্যবহার বিষয়ে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে কৃষি সেবা সহজীকরণে কৃষি এপস ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখন নিজের ফসলের যে কোন সমস্যা হলে এপ্স ব্যবহার করে সমাধান করে থাকেন। এতে কৃষি অফিসে যাতায়াত খরচ বা সময় দুটোই সাশ্রয় হয় বলে জানালেন রাবেয়া খাতুন। এলাকার অন্যান্য কৃষকের যে কোন সমস্যায় এপ্স ব্যবহার করে তিনি সমাধানও প্রদান করে থাকেন আর এভাইে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলার কৃষি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কৃষিতে সমৃদ্ধ জেলা জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত ১২ হাজার কৃষাণ-কৃষাণীকে কৃষি এপ্স ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষক-কৃষাণীরা ইতোমধ্যে কৃষি এপস ব্যবহার করে সুফলও পাচ্ছেন। জেলার সকল কৃষককে কৃষি এপ্স ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১১-৩২/নূসী