বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রাখতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

126

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-কর্ম সম্পাদন চুক্তি
উন্নয়নের গতিকে অব্যাহত রাখতে হলে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেইসঙ্গে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে আমরা ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি।
তিনি বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করব। তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেনো আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে।’
আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, গ্রামের জনগণকে যেন শহরে ভিড় করতে না হয়। নিজের গ্রামেই তারা যেন সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার ফলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অপনাদের কাজের সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের কাজের ফলেই আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাওয়া এবং মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়ার ফলেই আজ আমরা ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আমরা সবসময় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আগামী ২১ এবং ৪১ সালকে সামনে রেখে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত একটি দেশ।
চীনের প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘চীনের থেকেও আমাদের প্রবৃদ্ধ বেশি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যে ৮ দশমিক ১ ভাগে পৌঁছেছে। এ অর্থবছরের শেষ নাগাদ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। আর এটা আমরা করতে পারব বলেই বিশ্বাস করি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা প্রসংগে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকার আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশে আছেই এবং ভৌগোলিক কারণেই এটা হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সারাদেশে বন্যা চলছে। এ বন্যা পাহাড়ি, হাওর বা একটু উচু অঞ্চলে আছে। এ পানিটা ধীরগতিতে নেমে আসতে আসলে নিম্ন অঞ্চলগুলো প্লাবিত হবে। এ জন্য আপনারা সাবধান থাকবেন।’
তিনি প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘বন্যায় মানুষের যেন প্রাণহানি না ঘটে এবং খাদ্যের জন্য মানুষ যেন কষ্ট না পায়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।’
দাপ্তরিক কাজে গতিশীলতা আনয়নে তাঁর সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে দ্রুত দেশটা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, লাল ফিতার দৌরাত্ম কমেছে এবং আমাদের কাজে গতিশীলতা বেড়েছে, দক্ষতা বেড়েছে। সেই সাথে কাজের আগ্রহটও বেড়েছে।’
এ প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, ‘এখন তো ডিজিটাল যুগ। তার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। কিভাবে কোন কাজটা করলে দেশটা আরও উন্নত হতে পারে বা দ্রুত আমরা কাজটি করে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারব, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অভিনন্দন জানান।
বাসস/এএসজি/এফএন/১৬৪১/আরজি