বাসস ক্রীড়া-১০ : মর্গান চান ইংল্যান্ড যেন বিশ্বকাপ ফাইনালের চাপমুক্ত থাকে

134

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-বিশ্বকাপ-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
মর্গান চান ইংল্যান্ড যেন বিশ্বকাপ ফাইনালের চাপমুক্ত থাকে
বার্মিংহাম (ইউকে), ১২ জুলাই ২০১৯ (বাসস/এএফপি) : দলকে ফাইনালের চাপ না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। বৃহস্পতিবার এজবাস্টনে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের আট উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর এমন আহবান জানান ইংলিশ অধিনায়ক।
আগামী রোববার লর্ডসের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মোকাবেলা করবে স্বাগতিক দল। বিশ্বকাপ ফাইনালে এই প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। মরগান বলেন,‘ আমি চাই রোববার যেন আমাদের মধ্যে কোন রকম শংকা ভর না করে। বরং ওই দিনটি হচ্ছে সামনে এগিয়ে যাবার দিন। আজেকর দিনের মত। আমরা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে যাচ্ছি। সেটাও হবে একই ব্যাপার। ভাল পারফর্মেন্স দিয়ে আমরা সর্বাত্মক চেস্টা করব।’
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে ১১৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বুধবার ১ম সেমি-ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে ১৮ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কিউইরা। টানা দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে যাওয়া দলের বিপক্ষে কোন নিশ্চয়তা দিতে চাননা মরগান।
ইংলিশ অধিনায়ক বলেন,‘ নিউজিল্যান্ড ভয়ঙ্কর বোলিং দিয়ে বিশ্বকাপ ফ্ইানাল নিশ্চিত করেছে। রোববার দলটিকে হারানো বেশ কঠিন হবে। এখন আমরা সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
ইংল্যান্ড দল ফাইনালে যাওয়ায় রোববারের ম্যাচটি বিনামুল্য বৃটেনে সম্প্রচারের নিশ্চিয়তা লাভ করেছে। ২০০৫ সালের এ্যাশেজ সিরিজের পর এই প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্ট এভাবে সম্প্রচারিত হতে যাচ্ছে। মরগান বলেন,‘ বিষয়টি দারুন। আমার ‘ভালবাসা’ এই খেলার জন্য খুবই এটি ভাল হবে।’
চার বছর আগে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিদায় নেয়ার পর থেকেই নিজেদের জাগিয়ে তুলতে থাকে ইংল্যান্ড। এই ধারায় ওডিআই র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবেই তারা এবারের টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছে। আর বৃহস্পতিবারের জয়টি হচ্ছে ১৯৯২ সালের পর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে তাদের প্রথম জয়।
ইংল্যান্ডের নকআউট নিয়ে সমালোচনার জবাবে মরগান বলেন,‘ আমার মনে হয় আমরা কিছুটা রুঢ়প্রকৃতির। মানুষকে কখনো প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে চাইনা। এর ভেতর দিয়েই আমরা বেড়ে উঠেছি। এটিই আমাদের পন্থা এবং মাঝে মধ্যে আমরা দারুনভাবে এটি উপভোগ করি। আমার মনে হয় আমাদের শেখা উচিৎ কিভাবে উপভোগ করতে হয়। বিশেষ করে এমন দিনে।’
এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে ইংল্যান্ড। এর আগে বিশ্বকাপের ৭ সেমি-ফাইনালের কোনটিতেই হারেনি অস্ট্রেলিয়া। টসে হারার পরও মাত্র ১৪ রানের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়ার তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া ক্রিস ওকস শুরুতে দুটি উইকেট সহ ২০ রান দিয়ে লাভ করেন তিনটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার করা ২২৪ রানের টার্গেট মাত্র ২ উইকেটে এবং ১০৭ বল হাতে রেখেই টপকে যায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচে অপরাজিত ৪৯ রান করা মরগান বলেন,‘ বোলাররা যখন এমন একটি দিনে এমন দারুন বোলিং করেন তখন সেটি হয় অসাধারণ।’
ওকসের প্রথম বলটি সিমানা ছাড়া করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু ওই বাঁহাতিকে ৯ রানে ফিরিয়ে দিয়ে শেষ হাসিটি হেসেছেন ওকস। তিনি বলেন,‘ সেমি ফাইনাল সচরাচর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ও ¯œায়ুক্ষয়ি হয়। সুতরাং আমরা যেভাবে জিতেছি তা বিশাল ব্যাপার। অবশ্যই আমি চাইব আমার প্রথম বলটি ফিরে পেতে। তবে এর পরিবর্তে আমি আমার প্রচেস্টাটা ভাল ভাবেই চালিয়ে গেছি। তাদেরকে যে অবস্থায় (অস্ট্রেলিয়া) বোল্ড আউট করেছি তা এক কথায় অভাবনীয় ব্যাপার।’
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/১৬৫০/স্বব