বাসস ক্রীড়া-৬ : হতাশার মাঝেও ইতিবাচক ফিঞ্চ

124

বাসস ক্রীড়া-৬
ক্রিকেট-ফিঞ্চ
হতাশার মাঝেও ইতিবাচক ফিঞ্চ
বার্মিংহাম, ১২ জুলাই ২০১৯ (বাসস) : ইংল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। টুর্নামেন্টের সেরা দু’দলের একটি ছিলো তারা। অথচ সেমিফাইনালে অসহায় আত্মসমর্পনে বিশ্বকাপ শেষ অসিদের। ইংলিশদের কাছে হারের লজ্জা নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ হলো অ্যারন ফিঞ্চের দলের। ৮ উইকেটের হারে ফাইনালে উঠতে না পারার হতাশার পাশাপাশি বিশ্বকাপ থেকে ইতিবাচক অর্জনগুলো নিয়ে সান্তনা খুঁজছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ম্যাচ শেষে তেমনই বললেন ফিঞ্চ, ‘আমরা হতাশ। তবে আমাদের অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’
গতবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বল টেম্পারিং-এর কারনে বিশ্বকাপ শুরুর দেড় বছর আগে আলোচনা-সমালোচনায় বিদ্ধ ছিলো তারা। তবে বিশ্বকাপ শুরুর ছয় মাস আগ থেকেই দারুনভাবে ঘুড়ে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। তাই ফেভারিটের তকমা নিয়েই বিশ্বকাপের মঞ্চে আসে তারা। ফেভারিটের তকমা কতটা ছিলো অসিদের, লিগ পর্বের ম্যাচে পারফরমেন্সের দিকে চোখ বুলালেই তা দেখা যায়। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ফলে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়ে যায় অসিরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও ফেভারিট ছিলো অস্ট্রেলিয়া। কারন লিগ পর্বে ইংলিশদের ৬৪ রানে হারিয়েছিলো অসিরা।
কিন্তু শেষ চারের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয় ইংল্যান্ড। শুরুতে বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যের পর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ইনিংসে শেষ চার থেকে বিদায় নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাই লিগ পর্বে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরও সেমি থেকে বিদায় হওয়াতে হতাশ অসি দলপতি ফিঞ্চ, ‘এত দূর আসার পরও এভাবে বিদায় নেয়াটা সত্যিই হতাশার। ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে পারেনি। ১৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ি আমরা। পুরোপুরিভাবে পরাস্ত হয়েছি। তারা বল হাতে যেভাবে মোমেন্টাম গড়ে নিয়েছে, সেটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
হারের হতাশার মাঝেও ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন ফিঞ্চ, ‘বিশ্বকাপের এই আসর থেকে ইতিবাচক ব্যাপারগুলো খুঁজে নেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে। আমরা অনেকগুলো ম্যাচ জিতেছি। আমার জয়ের ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত ছিলাম। আমাদের দলের অনেক উন্নতিও হয়েছে। ইংল্যান্ডে সর্বশেষ আমরা যে অবস্থায় ছিলাম তার থেকে অনেক দূরে এগিয়েছি আমরা। শেষ ৬ মাসে যদি দেখেন তাহলে আমাদের দলটা অনেক কিছুই দেখিয়েছে। তারপরও কষ্ট পেতেই হচ্ছে।’
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ে প্রধান ভূূমিকা রাখেন স্বাগতিক বোলাররা। তাই ইংলিশ পেসারদের কৃতিত্ব দিলেন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের পেসাররা শুরুতেই যেভাবে আমাদের চেপে ধরে তাতে আমাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর ছিল। তারা লাইন-লেন্থহীন বজায় রেখে, বলের গতি বাড়িয়ে আমাদের সবসময়ই চাপের মধ্যে রেখেছে। পুরো ম্যাচেই ইংল্যান্ড আধিপত্য করে খেলেছে। আমাদের লড়াই করার কোন সুযোগই ছিলো না। ইংল্যান্ডের পেসাররা আজ এক কথায় অসাধারন ছিল। আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে কিছুই করতে পারিনি।’
বাসস/এএসজি/এএমটি/১৬০০/স্বব