বাসস দেশ-৩২ : ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় ৩০ তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর গ্রাজুয়েশন অর্জন

167

বাসস দেশ-৩২
গ্রাজুয়েশন-অর্জন
ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় ৩০ তরুণ রাজনৈতিক কর্মীর গ্রাজুয়েশন অর্জন
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জাতীয় পার্টির ৩০ জন তরুণ রাজনৈতিক নেতা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) তরুণ রাজনৈতিক বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছেন।
আজ রাজধানীর হোটেল এসকটে তরুণ রাজনৈতিক ফেলোবৃন্দের সার্টিফিকেট বিতরণে গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিআই।
তিন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান এবং জাতীয় পার্টির সভাপতির উপদেষ্টা আশরাফ -উদ-দৌলাহ এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশে সহনশীল ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক দলে তরুণ নেতৃত্বের ক্ষমতায়নে তাদের সমর্থনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ফেলোশিপ কর্মসূচির ১২তম ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এই কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক ফেলোরা ঢাকায় গত ৪ মাস ধরে আবাসিক প্রশিক্ষণ পর্বে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চা, ক্যাম্পেইন ম্যানেজমেন্ট, গণমাধ্যমের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ নেন। দেশের তিনটি রাজনৈতিক দলের এই তরুণ নেতৃবৃন্দ একসাথে তাদের নিজ নিজ জেলাতে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, মশা নিধন কার্যক্রম, রাস্তা সংস্কার, এবং প্রাকৃতিক পানির আধার সংরক্ষণ ইস্যুতে কাজ করেছেন। এই গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তরুণ নেতারা দলের জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দের কাছে বহুদলীয় পর্যায়ে তাঁদের এডভোকেসি উদ্যোগের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।
২০১২ সাল থেকে জাতীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের ২৫০ এরও বেশি তরুণ নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিকাশে ফেলোশিপ কর্মসূচির আওতায় গ্রাজুয়েশন অর্জন করেছেন। তরুণ ফেলোরা তাঁদের জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে ১৫ হাজারেরও বেশি তরুণ কর্র্মীকে বিভিন্ন এডভোকেসি কার্যক্রম ও অন্যান্য কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করেছেন।
গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানটি ইউএসএআইডি ও ইউকেএইড -এর যৌথ অর্থায়নে ও ডিআই-এর বাস্তবায়নে ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের অধীনে আয়োজন করা হয়।
বাসস/সবি/এমএন/১৯৩৫/-জেজেড