বাসস দেশ-২৬ : সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

120

বাসস দেশ-২৬
হবিগঞ্জ -মুক্তিযোদ্ধা- সমাবেশ
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আজ বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা বাগানে, “মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্থানসমূহ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্প” এর অংশ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভের স্থান পরিদর্শন পরবর্তী এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।
আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জড়িয়ে আছে প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙ্গালির আবেগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হলে শিক্ষার্থীদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। এজন্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করতে হবে ।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তেলিয়াপাড়ার একটি বর্ণাঢ্য ইতিহাস রয়েছে। এখান থেকেই মুক্তিবাহিনী গঠন, মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা ও রাজনৈতিক সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এখানে বহু সম্মুখ সমর অনুষ্ঠিত হয়েছে । তাই এই স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ইতিহাসের অনেক অমূল্য উপাদান ও অতুলনীয় গৌরব-গাঁথা রয়েছে।এখানকার স্মৃতিসৌধটি যথাযথভাবে সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিভাতা মাসিক ১৫হাজার টাকা করা হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাড়ি করে দেয়া হবে। এসব বাড়ি নির্মাণে ঠিকাদারের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সদস্য সচিব করে একটি বাস্তবায়ন কমিটি করে দেয়া হবে। ভবিষ্যতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সরাসরি তাদের একাউন্টে চলে যাবে।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এস.এম. আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সালাউদ্দিন চৌধুরী, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ, মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাশনূভা নাসতারান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এর আগে ‘মুক্তিযুদ্ধকালে শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ভারতীয় শহীদ মিত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের স্থান পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় সুধীসমাজ এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
বাসস/সবি/এমএআর/১৯১৫/কেএমকে