পরিবেশ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতা চেয়েছেন পরিবেশ মন্ত্রী

218

ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংকের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন পরিবেশ বিষয়ে বিশ্ব ব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এখানে সফররত বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জন রোমে আজ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় মন্ত্রী এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ক্লিন এয়ার এন্ড সাসটেইনএবল এনভার্নমেন্ট প্রজেক্ট এবং স্ট্রেনন্থেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন প্রজেক্টে বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে পরিবেশ উন্নয়নের অন্যান্য খাতে বিশ্ব ব্যাংক আমাদের পাশে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জবাবে জন রোমে বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূ, এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে জড়িত। বায়ুদূষণ রোধে গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ পদক্ষেপ আরো ব্যাপকভাবে কার্যকর করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৫৮ শতাংশ বায়ুদূষণ হয়ে থাকে ইটভাটা থেকে। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ইটভাটা আইন যুগোপযোগী এবং বাস্তবায়নে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাছাড়া ক্লিন এয়ার এন্ড সাসটেইনএবল প্রজেক্টের মাধ্যমে যান্ত্রিক যানবাহনের ধোঁয়া ও ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া নির্মূল এবং বায়ুদূষণ রোধ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত বিশে^র সহায়তা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি “কম্প্রিহেনসিভ এনভার্নমেন্টাল প্রজেক্ট” নামে একটি প্রকল্প প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে জমা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ প্রকল্প প্রস্তাব খুব তাড়াতাড়ি বিশ^ব্যাংকের কাছে পৌঁছাবে। তিনি এই প্রকল্পটিতে সহায়তা করার জন্য বিশ^ব্যাংক প্রতিনিধির প্রতি আহ্বান জানান। জবাবে বিশ^ব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক জন রোমে বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ইস্যূতে বাংলাদেশের সাথে সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবে। সাক্ষাতের সময় পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এম.পি. উপস্থিত ছিলেন।
এরপর অপর এক বৈঠকে কানাডার ক্লাইমেট চেঞ্জ এম্বাসাডার মিজ. প্যাট্রিসিয়া ফুলার মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।